- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ২০, ২০২৪
সমাজমাধ্যমে চাকরির মামলায় অনৈতিকভাবে টাকা তোলার অভিযোগ কুণালের,মিশ্র প্রতিক্রিয়া ‘এক্স’ হ্যাণ্ডেলে
নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে রাজ্য রাজনীতিতে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে এর আগে। এবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের একটি পোস্ট সেসব বিতর্ক আরও উস্কে দিল। শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার দোহাই দিয়ে বেশ কিছু ব্যক্তি অনৈতিকভাবে টাকা তুলছেন বলে অভিযোগ করলেন খোদ কুণালই।
কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে ‘২০১৪ বঞ্চিত টেট পাশ (হাওড়া) নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে’র কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন।তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শিক্ষা সংক্রান্ত চাকরি মামলা দেখিয়ে কিছু ব্যক্তি বিপুল টাকা তুলছেন বলে অভিযোগ। একটি গ্রুপের পোস্টে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। এসব কথা আগেও কানে এসেছে। বহু সংখ্যক কর্মপ্রার্থীর কাছ থেকে মামলার নামে বিপুল টাকা তোলার কথাগুলি সত্য কিনা জানতে তদন্ত হোক। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা দরকার।’
শিক্ষা সংক্রান্ত চাকরি মামলা দেখিয়ে কিছু ব্যক্তি বিপুল টাকা তুলছেন বলে অভিযোগ। একটি গ্রুপের পোস্টে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। এসব কথা আগেও কানে এসেছে। বহু সংখ্যক কর্মপ্রার্থীর কাছ থেকে মামলার নামে বিপুল টাকা তোলার কথাগুলি সত্য কিনা জানতে তদন্ত হোক। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা দরকার। pic.twitter.com/t4W8Ry4HEj
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) June 20, 2024
স্ক্রিনসট খুঁটিয়ে দেখলে চাঞ্চল্যকর কিছু মন্তব্য চোখে পড়বে। যেমন- একজন ব্যক্তি লিখেছেন, ‘একজন ল ইয়ার আমার পরিচিতর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে কেসের জন্য।’ তাঁকে সমর্থন জানিয়ে আর একজন লিখেছেন, ‘ফিরদৌসের কাছে গিয়েছিলাম। বলছে ২৫ কে (হাজার) দাও হয়ে যাবে! আমি কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে এলাম!’ অন্য এক ব্যক্তি আক্ষেপ করে লিখেছেন,’সব কেস করেছি, ১ লক্ষ টাকা জলে গেল!’
কুণাল ঘোষ যে এক শ্রেণীর আইনজীবীকে ইঙ্গিত করছেন তা স্পষ্ট। তবে কে এই ফিরদৌস , তা অবশ্য জানা যায়নি। কুণাল ঘোষের দাবি এই আইনজীবীদেরও চিহ্নিত করা হোক এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
কুনালের এহেন পোস্ট ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, কেউ তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। আবার কেউ সরাসরি কুণালের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁদের দাবি কুণাল ঘোষ সমগ্র ব্যাপারটিকে গুলিয়ে দিতে এমন পোস্ট করেছেন।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী ইতিমধ্যে আইনি হেফাজতে আছেন। শিক্ষা দফতরের একাধিক পদস্থ আধিকারিকও দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের এস এস সির পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে রাতারাতি ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর ভবিষ্যতে প্রশ্নচিহ্ন পড়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট ওই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এস এস সিকে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ জুলাই। এ আবহে কুণাল ঘোষের পোস্ট ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
❤ Support Us