Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মে ১, ২০২৩

লালন শেখের মৃত্যু তদন্তে দুই সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন। আদালতের নজরদারিতেই হবে তদন্ত

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
লালন শেখের মৃত্যু তদন্তে দুই সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন। আদালতের নজরদারিতেই হবে তদন্ত

সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে সোমবার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা SIT গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের উপর আস্থা প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট, এমনটাই মনে করছে শাসক দল। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের অফিসারদের নিয়ে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলই  তদন্ত করবে লালন শেখ-এর মৃত্যুর ঘটনার। সাত দিনের মধ্যে টিম গঠন করে আদালতে রিপোর্ট দিতে সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
তাঁর নির্দেশ, কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের অফিসারদের নিয়ে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলই লালন মৃত্যু মামলার তদন্ত করবে।

সিটের নেতৃত্বে থাকবে আইজি পদমর্যাদার আইপিএস অফিসার প্রণব কুমার। এর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার অফিসার বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়কেও এই তদন্তকারী দলে রাখা হয়েছে। এই দুই পুলিশ আধিকারিক সিটে বাকি সদস্যদের বেছে নেবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে এই সিট গঠন করতে হবে বলেও আদালত নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, আদালতের নজরদারিতে লালন মৃত্যু মামলার তদন্ত চলবে।

প্রসঙ্গত, ১২ ডিসেম্বর, রামপুরহাটের সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্প পান্থশ্রীতে বগটুইকাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে লালনের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল। এদিন আদালত আরও জানিয়েছে, বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টও  জমা দিতে হবে। এই সময় মধ্যে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও জানিয়েছে আদালত। সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বীরভূমের বগটুইয়ে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের পড় ১০ জনকে পুড়িয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ছিল লালন শেখ। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় এলাকায় তৃণমূলকর্মী বলে পরিচিত এই লালন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে লালনকে  গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতারির ন’দিনের মাথায় রামপুরহাটের সিবিআই ক্যাম্প থেকে উদ্ধার হয় লালনের ঝুলন্ত দেহ।

লালনের মৃত্যুর পর সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পের বাইরে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে, যে বাধ্য হয়ে সিবিআই আধিকারিকরা সেই  ক্যাম্প থেকে বাধ্য হন চলে যেতে। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা তখন ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। মৃতের পরিবারের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে প্রথমে লালন মৃত্যুর তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে লালনকে হত্যার অভিযোগ তোলে লালনের পরিবার। এই নিয়ে সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত কড়া পদক্ষেপ না করার নির্দেশ দেয়। নিরপেক্ষ কোনও সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলাতেই সোমবার সিট গঠনের রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!