Advertisement
  • দে । শ
  • এপ্রিল ২৭, ২০২৩

হরিয়ানায় টাকা দিয়ে কিনে আনা বউ এখন শ্বশুর বাড়ির ত্রাস

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
হরিয়ানায় টাকা দিয়ে কিনে আনা বউ এখন শ্বশুর বাড়ির ত্রাস

হরিয়ানার ঝিন্দ জেলার পিলু খেরা  গ্রামের কেউ এখন আর দুধ দিয়ে মোটা করে বানানো মিষ্টি ধোঁওয়া ওঠা চা খাচ্ছেন না। এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে তখন যখন বেদ সিং ও তাঁর পরিবার তাঁদের পুত্রবধুর হাতে তৈরি চা খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন। আসলে এই পূত্রবধুরা শ্বশুরবাড়ির সবকিছু লুট করে নিয়ে যাওয়ার জন্যই বিষ চা খাওয়াতো শ্বশুর বাড়ির লোকেদের। আর  এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য চায়ের সঙ্গে তাঁরা বিষ মিশিয়ে খাওয়াতো শ্বশুরবাড়ির লোকেদের, যাতে বিষ চা খেয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা অচৈতন্য হলে বা মারা গেলে এই সাহসি বউয়েরা তখন সোনা, টাকা সহ যা সম্পত্তি আছে সব নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চম্পট দিতে পারে।
স্থানীয় গ্রামের মানুষরা এধরনের বউকে “লুঠেরা বউ” বলেই  স্থানীয় ভাবে ডেকে থাকেন। এই ধরনের বৌয়েরা হরিয়ানায় এককথায় ত্রাস।
হরিয়ানার স্ত্রী-পুরুষের জনসংখ্যার নিরিখে হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরালা থেকে তারা টাকার বিনিময়ে বউ কিনে আনছিল। রীতিমতো এজেন্সির মাধ্যমে এই বউ কেনার কাজ হচ্ছিল। 10000 টাকা করে এজেন্সির মাধ্যমে এভাবে বউ কেনা হতো। বউকে নারী এজেন্সির ব্যবসা ব্যবসা হয়ে উঠেছে। তবে এই বউকে নাড়ালেই হরিয়ানার ঝিন্দ জেলার মানুষের দুধ দিয়ে ঘন করে মিষ্টি এবং ধোঁওয়া  ওঠা চা না  খাওয়ার এটাই আসল রহস্য।
টাকার বিনিময় এই বউয়েরা বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে আসার সময় যথেষ্ট আনুগত্য দেখিয়েই সংসার শুরু করতেন। নিজেদের সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতেন। কিন্তু কিছু পরেই তাঁদের স্বরূপ প্রকাশ পেত। এই বেদ সিংয়ের ঘটনাটাই সেরকম।বেদ সিংয়ের পুত্রবধূ গীতা যার বয়স 26 বছর, কোনও  এক শুক্রবার সে চায়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে বেদ সিং ও তাঁর পরিবারের অন্যান্যদের খাইয়েছিলেন। চা খেয়ে তাঁরা যখন চৈতন্য হয়ে পড়েন, তখন গীতা টাকা সোনাদানা যা বাড়িতে আছে তা নিয়ে চম্পট দেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পাশের বাড়ির প্রতিবেশীরা গীতাকে ধরে ফেলল এবং পুলিশের হাতে তুলে দিল। এই ঘটনার পর থেকেই ঝিন্দ জেলার পিলু খেরা গ্রামের প্রায় 700 পরিবার দুধ দিয়ে মোটা করে চিনি মেশানো ধোঁওয়া ওঠা চা খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দিয়েছেন। দুর্ধর্ষ এই পুত্রবধূদের ভয় তাঁদের গরম চা খাওয়ার ইচ্ছে এককথায় এখন বাস্পের মতোন উবে গেছে।
বেদ সিংয়ের পরিবারের এই ঘটনার কথা শুনে সেই গ্রামের মানুষটা যেমন স্বস্তি পেয়েছেন তেমন তাঁরা আতঙ্কিতও হচ্ছেন। কেননা তাঁরা জানেন তাঁদের পরিবারের পুত্রবধূদের ও তাঁরা ভিন রাজ্য থেকে টাকা দিয়েই কিনে এনেছেন। কাজেই তাঁদের চিন্তা একটাই, শেষমেষ তাঁদের ঘরের লক্ষ্মী পুত্রবধূ  তাঁদের বিষ খাইয়ে মারবে নাতো?  চম্পট দেবে না তো টাকা করি সোনাদানা সব নিয়ে?
সমাজে যেখানে আমরা বধূ নির্যাতনের গল্প হামেশাই শুনি। সেখানে হরিয়ানার ঝিন্দ জেলার পিলু খেরা গ্রামের এই লুঠেরা বউদের কাহিনি সত্যিই যেন উলট পুরান। এখানে বউরাই শ্বশুর বাড়ির ত্রাস, শ্বশুর বাড়ি বা স্বামী বউদের আতঙ্কিত করে না।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!