- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২০, ২০২৩
পাশের হারে মাধ্যমিককে ছাপিয়ে গেল হাই-মাদ্রাসা। আলিমে প্রথম হুগলি, কোচবিহারে ফাজিলে পাশ ১০০ শতাংশ
হাই মাদ্রাসাতে প্রথম হয়েছে মুর্শিদাবাদ আশিফ ইকবাল, ৮০০-এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ৭৮০

পাশের হারে মাধ্যমিককে টপকে গেল মাদ্রাসার ফল। এবার মাধ্যমিকে পাশের হার যেখানে ৮৬.১৫ শতাংশ সেখানে হাই-মাদ্রাসায় পাশের হার ৮৮.০৯ শতাংশ।
এই ফল যেমন একটি সম্প্রদায়ের সমাজের মূল স্রোতে মিশে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেবে তেমনই এই ফল রাজ্য সরকারের মাদ্রাসা শিক্ষায় রাজ্য সরকারের ইতিবাচক ভূমিকাও প্রমাণ করছে।
এদিন ফোনে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেচ্ছা জানান রাজ্যে ফাজিলে প্রথম ফুরফুরার ফাহিম আক্তারকে। ফাহিমের প্রাপ্ত নম্বর ৫৬৫।
শনিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত ২০২৩ এর হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। হাই মাদ্রাসা, আলিম, ফাজিল মিলিয়ে মেধাতালিকাতে আছে ৩৭ জন। এর মধ্যে ১০ ছাত্রী এবং ২৭ জন ছাত্র রয়েছে। এই পরিসংখ্যানও উল্লেখের দাবি রাখে।
পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পাশের হার পূর্ব মেদিনীপুর ৯৮.০৭, আলিপুর ৯৭.৮৯, উত্তর ২৪ পরগনা ৯৩.৯৬।
আলিম পরীক্ষায় জেলা ভিত্তিক হুগলি প্রথম স্থান। দ্বিতীয় স্থানে আছে কোচবিহার, তৃতীয় স্থানে আছে উত্তর ২৪ পরগনা। চতুর্থ স্থানে আছে পূর্ব বর্ধমান। পঞ্চম স্থানে আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ষষ্ঠ স্থানে আছে হাওড়া। সপ্তম স্থানে আছে পশ্চিম মেদনীপুর। অষ্টম স্থানে আছে দক্ষিণ দিনাজপুর। কলকাতা পিছিয়ে আছে আলিম পরীক্ষার ফলের ক্ষেত্রে। এই ফল জেলাওয়ারি মাদ্রাসা শিক্ষায় উন্নতির আভাস দিচ্ছে।
এবার ফাজিলে ১০০ শতাংশ পাশ করেছে কোচবিহার। জেলা ভিত্তিক দ্বিতীয় হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। তৃতীয় হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। চতুর্থ হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর। পঞ্চম হয়েছে মালদা। ষষ্ঠ হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সপ্তম হয়েছে হাওড়া। অষ্টম হয়েছে পূর্ব মেদনীপুর। নবম হয়েছে উত্তর দিনাজপুর।
হাই মাদ্রাসায় ৩৮ হাজার ৪৪৫ জন পরীক্ষায় বসে, তার মধ্যে ১২ হাজার ৯৩৯ জন ছাত্র পাস করেছে, ছাত্রীদের পাশের সংখ্যা ২৫ হাজার ৫০৬ জন। মোট পাশের হার ৮৮.০৯ শতাংশ।
আলিম পরীক্ষায় বসেছেন ৯ হাজার ২৯২ জন, তার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৪ হাজার ৪৩০ জন। ছাত্রী সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬২ জন। মোট পাশের হার ৯০.৬৯ শতাংশ।
ফাজিল পরীক্ষার বসে ৫ হাজার ৮২৮ জন, তার মধ্যে ২৮৫১ জন ছাত্র ও ২ হাজার ৯৭৭ জন ছাত্রী। পাশের হার ৯১.১৫ শতাংশ।
হাই মাদ্রাসাতে প্রথম হয়েছে মুর্শিদাবাদ আশিফ ইকবাল, ৮০০-এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ৭৮০। দ্বিতীয় মুর্শিদাবাদের নাসিরউদ্দিন মোল্লা, প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫। তৃতীয় মালদার মুক্তাদুর রহমান, প্রপ্ত নম্বর ৭৭৪। চতুর্থ মালদা রামনগর হাই মাদ্রাসা ইমরান আলি, প্রাপ্ত নম্বর ৭৭২। পঞ্চম মুর্শিদাবাদ আইসিয়ার হাই মাদ্রাসা সাদিয়া খাতুনের প্রাপ্ত নম্বর ৭৭০। ষষ্ঠ মালদা বর্টালা আদর্শ মাস্কুরা খাতুন, নম্বর ৭৬৫। সপ্তম হয়েছেন দুজন, পূর্ব বর্ধমানের মহম্মদ সাদ, ও জালালপুরের সহিদুল ইসলাম এদের প্রাপ্ত নম্বর ৭৬৩। অষ্টম হয়েছেন মালদার নাজিব আহমেদ, প্রাপ্ত নম্বর ৭৬১। নবম ধানগড়া বিষ্ণুপুর মালদা ওয়াসিম আখতার, প্রাপ্ত নম্বর ৭৬০। দশম মালদার মুশিউর রহমান প্রাপ্ত নম্বর ৭৫৯।
এদিকে আলিম পরীক্ষার ফলও বেশ ভালো হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার মহম্মদ সুজা উদ্দিন লস্কর প্রথম স্থান পেয়েছেন, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৮৪৫। দ্বিতীয় হয়েছেন উত্তর ২৪ পরগণার করিমুল ইসলাম, ও মুর্শিদাবাদের আব্দুল হালিম প্রাপ্ত নম্বর ৮৪৩। তৃতীয় আবদুল রহমান ৮৩৯। চতুর্থ আফরিন মন্ডল ৮৩৭। পঞ্চম হাবিবুর শেখ ৮৩৩। ষষ্ঠ সবনম খাতুন ৮২৮। সপ্তম ইয়াসিন শেখ। অষ্টম মসম্মদ আমাতুল্লা তাসমীন ৮১৬। নবম সোনিয়া পারভীন ৮১১ ও রেশমা খাতুন পেয়েছে ৮১০ নম্বর।
ফাজিল পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করছেন হুগলির ফাহিম আখতার, যার প্রাপ্ত নম্বর ৫৬৫। দ্বিতীয় মোজাম্মেল মল্লিক, প্রাপ্ত নম্বর ৫৫১। তৃতীয় ইয়াজ আহমেদ মণ্ডল, প্রাপ্ত নম্বর ৫৪৯। চতুর্থ সুমাইয়া পারভীন, ও মহম্মদ সানা উল্লাহ খান, প্রাপ্ত নম্বর ৫৪৫। পঞ্চম শেখ ইঞ্জামামুল, প্রাপ্ত নম্বর ৫৪৩।
২০২২ সালে হাই মাদ্রাসার পাশের হার ছিল ৮৭. ০৯ শতাংশ এইবারে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮.০৯ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৮৬.৬ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা হয়েছে ৮৬.১৫ শতাংশ।
❤ Support Us