- দে । শ
- অক্টোবর ২৬, ২০২৪
গ্রেপ্তার ধর্ষণে অভিযুক্ত বৃন্দাবনের মহারাজ

গ্রেপ্তারি এড়াতে কাটোয়া মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ ধর্ষণে অভিযুক্ত বৃন্দাবন নিবাসী মহারাজ গোবিন্দ বল্লভ শাস্ত্রীর। তবে শেষ রক্ষা হল না। পেশায় কথাপ্রবচক গোবিন্দবল্লভের আত্মসমর্পণের খবর পেয়ে মঙ্গলকোটের পুলিশ ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের আবেদন জানিয়ে মহারাজ গোবিন্দবল্লভকে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে। আবেদন মঞ্জুর করলেন বিচারক। গত ২২ জুলাই মঙ্গলকোটের জয়পুর গ্রামের এক ধর্মপ্রাণা তরুণী বৃন্দাবন নিবাসী কথাপ্রবচক মহারাজ গোবিন্দবল্লভ শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেপ্তারি এড়াতে মহারাজ গোবিন্দবল্লভ কলকাতা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। সেখানে কাজ না হওয়ায় শেষে কাটোয়া মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসে পুলিশের জালে ধরা পড়ে যান ধর্মগুরু।
আদালত সূত্রের খবর, মঙ্গলকোটের জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা ধর্মপ্রাণা এক তরুণীকে আধ্যাত্ম চর্চার নামে ফুসলিয়ে মহারাজ গোবিন্দবল্লভ পূর্ব মেদিনীপুরে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। গোবিন্দবল্লভের প্রবচনে আকৃষ্ট হয়ে তরুণী নিজেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তরুণীর অভিযোগ, ব্রহ্মচর্য বিদ্যা অধ্যয়নের নাম করে তরুণীকে গোবিন্দবল্লভ বিভিন্ন সময়ে কয়েকবার ধর্ষণ করেন। তরুণী মঙ্গলকোট থানায় গোবিন্দবল্লভ শাস্ত্রীর নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়েরের পর গোবিন্দবল্লভের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ধর্ষণের মামলার জামিনের জন্য মহারাজ কলকাতার উচ্চ আদালতে আবেদন করলে বিচারক তা খারিজ করে দেন বলে খবর। লাঞ্ছনার পর তরুণী হতাশায় তার শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। পরিবারের লোকজনের তৎপরতায় কোনক্রমে তরুণী প্রাণে বেঁচে যায়।
জানা গেল, শুধু মঙ্গলকোটের তরুণীই নয়, নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ধর্মকথা শুনিয়ে আকর্ষণ করে বহু মহিলার সঙ্গে যৌনসংসর্গ ও ধর্ষণে অভিযুক্ত এই ধর্মগুরু। তার কুকীর্তির জাল শুধু এই বঙ্গেই নয়, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব-সহ বিভিন্ন রাজ্যে বেছানো। অভিযোগ, এসবের সঙ্গে শাঁসালো শিষ্য ধরে মোটা টাকা গুরুদক্ষিণা আদায়েও জুড়ি ছিল না ওই ধর্মগুরুর। মন্দির গড়ার নামে অর্থ সংগ্রহ করে সেই টাকায় একাধিক রিসর্ট ও দামি গাড়ি খরিদেরও অভিযোগ উঠেছে ওই ধর্মগুরুর নামে। বীরভূমের খয়রাশোলেও একটি রিসর্ট রয়েছে তাঁর। সেখানে মহিলাদেরও আনাগোনা ছিল। বৃন্দাবনে রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি। তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপনও করতেন। মঙ্গলকোটের লাঞ্ছিতা তরুণীর কাছেও দেড় লক্ষ টাকা প্রণামী নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় ধর্মগুরুর স্ত্রীও অভিযুক্ত। ধর্মগুরুর ইউটিউব চ্যানেলটিও বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন মঙ্গলকোটের তরুণী। আরও দাবি, প্রণামীর নামে বিপুল টাকা তুলে তিনি যেসব সম্পত্তি করেছেন তা অচিরেই বাজেয়াপ্ত করা হোক।
❤ Support Us