- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
বাংলো খালি করা নিয়ে মহুয়ার কাছে ডিইও-র জবাব তলব। নোটিশের ভাষা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন বিরোধীদের
![বাংলো খালি করা নিয়ে মহুয়ার কাছে ডিইও-র জবাব তলব। নোটিশের ভাষা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন বিরোধীদের](https://aramva.co/wp-content/uploads/2024/01/mahua-moitra.png)
সাংসদ পদ থেকে বহিস্কৃত তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে দিল্লিতে তাঁর সাংসদ কোটার সরকারি বাংলো থেকে উঠে যেতে আগেই বলা হয়েছিল ডিইও-র তরফে। তবে বহিস্কৃত কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ পর্যন্ত বাংলোয় থাকার আবেদন জানিয়ে ছিলেন। এই নিয়ে তিনি আদালতেও যান। এবার তাঁকে সেই বাংলো ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হল। তবে সেই নোটিশের ব্যবহৃত ভাষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন তিনি বাংলো ছাড়েননি নোটিশে তার জবাবও চাওয়া হয়েছে। পত্রপাঠ বাংলো ছাড়তেও বলা হয়েছে, অন্যথায় বলপ্রয়োগের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ।
কেন ডিইও-র তরফে বাংলো ফাঁকা করার নির্দেশ দেওয়ার পরেও তিনি বাংলো ছাড়েননি তাই তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে। ওই নোটিশে তাঁকে পত্রপাঠ বাংলো খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস বা ডিওই। নোটিসে লেখা হয়েছে, বাংলো খালি করতে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের রাস্তাতেও হাঁটা হতে পারে। স্বভাবতই, প্রাক্তন সাংসদকে পাঠানো নোটিসের ভাষায় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি মহুয়া মৈত্রকে বাংলো ছাড়া করতে বলপ্রয়োগের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার?
ওই উচ্ছেদ নোটিসে ডিইও আধিকারিকদের একটি দলকে ওখানে পাঠানোর কথাও উল্লেখ করেছে। ওই নোটিশে লেখা হয়েছে সরকারি বাংলোটি যত দ্রুত সম্ভব খালি করে দিতে। ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটসের পাঠানো এই নোটিসে বলা হয়েছে, যদি মহুয়া মৈত্র নিজে থেকে বাংলো না খালি করেন, তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী, বলপ্রয়োগের কথা ভাবা হতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, মহুয়া মৈত্র এখন আর ওই সরকারি বাংলোর বাসিন্দা হওয়ার আইনি বা নৈতিক দাবিদার নন। এই বিষয়টি প্রমাণের জন্য তিনি পর্যাপ্ত সময়ও পেয়েছেন। তার পরেও তিনি বাংলো না ছাড়ায় তাঁকে পত্রপাঠ বাংলো খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ডিইও।
বাংলো খালি করা নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, যদি তাঁর মক্কেলকে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ পর্যন্ত ওই বাংলোয় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে বর্ধিত সময়ের জন্য প্রযোজ্য যাবতীয় খরচ তিনি বহন করতে সম্মত আছেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ জানিয়েছিলেন, সরকারি আবাসনে থাকার জন্য আবেদন ডিওই-র কাছেই করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে আইন মেনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত কিছু করবে না। এর পরে মহুয়ার আইনজীবী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।
❤ Support Us