Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • মার্চ ২৪, ২০২২

বকটুই গ্রামে মমতা! কঠোর শাস্তি পাবেন ডিআইজি, এসডিপিও, আইসি । দায়িত্ব পালনে এঁরা ব্যর্থ্য। গ্রেপ্তার হবেন ব্লক সভাপতি ও আনারুল ।

গ্রামে যাওয়ার পথে বারবার বাঁধা পেয়ে রাস্তায় বসে পড়লেন অধীর। নাড্ডার নির্দেশে সুকান্তসহ রামপুরহাটের উদ্দেশ্যে বিজেপির প্রতিনিধিরা। প্রশ্ন, বাংলায় হিংসার রাজনীতি ফেঁপে উঠছে কেন?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বকটুই গ্রামে মমতা! কঠোর শাস্তি পাবেন ডিআইজি, এসডিপিও, আইসি । দায়িত্ব পালনে এঁরা ব্যর্থ্য। গ্রেপ্তার হবেন ব্লক সভাপতি ও আনারুল ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজ রামপুরহাটে পৌঁছো গেছেন । হেলিপ্যাড থেকে ২ কিলোমিটার দূরে প্রথমে সার্কিট হাউসে বসে পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নেবেন। এরপর বগটুই গ্রামের ঘটনাস্থল ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। আহতদের সঙ্গে কথা বলবেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । সেখানে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন । গতকালই তাঁদের আইসিইউ থেকে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মমতা নিহতদের নিকট আত্মীয়দের সহ্গে কথা বলেছেন। সুবিচার ও সাহায্যের অআশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর সামনে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়া মহিলাকে নিজের বোতল থেকে জল খাওয়ালেন। বললেন, কঠোর শাস্তি পাবেন ডিআইজি, এসডিপিও, আইসি । দায়িত্ব পালনে এঁরা ব্যর্থ্য। গ্রেপ্তার হবেন ব্লক সভাপতি ও আনারুল ।

মুখ্যমন্ত্রী রওনা দেওয়ার আগেই বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে তাঁর দলের প্রতিনিধিরা বিপর্যস্ত গ্রামের দিকে রওনা দিয়েছে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ভারতী ঘোষ সহ চার অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। গতকাল ঘটনাস্থল ঘুরে আসেন ফিরহাদ হাকিম এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরীকে রামপুরহাট যাওয়ার পথে বারবার বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । অধীর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান।

কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলের কয়েকজন আধিকারিক আজ সন্ধেয় কলকাতায় পৌঁছতে পারেন। কাল তাঁরা রামপুরহাটের বাইটুই গ্রামে যাবেন বলে জানা গেছে ।
বগটুই গ্রামে নিহতদের নিয়ে অদ্ভুত রাজনীতি শুরু হয়েছে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ উঠছে। পুলিসকে দায়ী করছেন বিরোধীরা। শাসক পক্ষ বলছে, বাংলা এবং এখানকার সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে । শাসকের দাবিকে ষড়যন্ত্র তথ্য বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন বিরোধীরা । ঘটনা মর্মান্তিক। এরকম ঘটনাকে নিয়েও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি উস্কে দেওয়ার চেষ্টা খুবই দুঃখজনক । অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে যাঁদের মূত্যু হয়েছে, ঘটনাচক্রে তাঁরা সবাই মুসলিম। তাঁদের জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ হয়তো ভিত্তিহীন নয়। কিন্তু মূতদের নিয়ে সংসদে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন বললেন, মূতদের সকলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য। মূত্যু মূত্যুই । মূতের জাত পরিচয় নেই । জীবদ্দশায় যে সব মানুষের পরিচয় ও তাঁদের অধিকার নিয়ে বিজেপি মুখ খোলে না। বরং সাম্প্রদায়িক ইন্ধন জোগায়, তাদের নিয়ে আচমকা দরদের খরস্রোত বিজেপির নেতূত্বকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমকে ষড়যন্ত্রীদের তালিকায় বিদ্ধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, অপরাধীদের কঠোর শাস্তি হোক । এই প্রধানমন্ত্রীই যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন ছিলেন, তখনকার সাম্প্রদায়িক গণহত্যা নিয়ে কখনও কি সরব হয়েছেন? এখনও ওই দাঙ্গাকে ঘিরে তার সতর্ক নীরবতা বিস্ময়কর। এখানেই বাগটুই গ্রামের লাস নিয়ে বিজেপির অতিশয় রাজনীতি বিজ্ঞজনকে ভাবিয়ে তুলছে । মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজনীতির রং দেখা হবে না। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি হবে। ইতিমধ্যে বহুজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিসের একাংশও রেহাই পায় নি। এবার সরজমিনে দাঁড়িয়ে মমতা কী বলবেন, তার দিকে বাংলা তাকিয়ে আছে। কোথাও কোথাও প্রশ্ন উঠছে বাংলার রাজনৈতিক হিংসার এতো বাড়বানন্ত কেন? এটা কি আরোপিত, সংক্রমিত, নাকি স্বভাবজাত? গ্রামীণ বাঙালিকে লেঠেল হিসেবে ব্যবহার করছে কারা? কী তাদের উদ্দেশ্য? এই প্রশ্নের উত্তরেই জড়িয়ে আছে রাজনৈতিক হিংসার সমাজতত্ত্ব ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!