Advertisement
  • দে । শ
  • নভেম্বর ২৩, ২০২৩

অন্তর্দন্দ্বে বিরোধীরা খুন হচ্ছেন আর ঘর পুড়ছে বাম সমর্থকদের, অভিযোগ সেলিমের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
অন্তর্দন্দ্বে বিরোধীরা খুন হচ্ছেন আর ঘর পুড়ছে বাম সমর্থকদের, অভিযোগ সেলিমের

গেয়ালপোখর থেকে জয়নগর,তারপর আমডাঙা সবত্রই তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের খুন করে সিপিএম ও বিরোধীদের ধরছে। ঘরবাড়ি পোড়াচ্ছে। বুধবার সিপিএম রাজ্য দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে এই মন্তব্য করলোন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেলিম বলেন, “গোয়ালপোখরে তৃণমূল তৃণমূলকে খুন করে কংগ্রেসকে ধরেছিল। জয়নগরে সিপিএম কর্মীদের বাড়ির উপর হামলা করে। ভাঙচুর করে, পুলিশের সামনে। পুলিশ কেমন দলদাস হয়েছে যে সেখানে আক্রান্ত মহিলাদের বাঁচাবার চেষ্টা না করে, সেখানে যাতে কেউ যেতে না পারে তার জন্য এক সপ্তাহ, দশদিন আটকানোর চেষ্টা করেছে। গতকাল আমাদের ছাত্র নেতারা জয়নগরের সেই দোলুয়াখাঁকি গ্রামে কিছু ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌঁছয়। হাজার হাজার মানুষ তাদের সমর্থন করেছে। কারণ মানুষ এই দানবিক তৃণমূলকে সমর্থন করছে না। সন্ত্রাস করে ১২ বছর মিথ্যা মামলা দিয়ে সিপিএম কর্মীদের ধরেছে, এখনও আবার সিপিএম কর্মীদের ধরছে। যে ঘটনাস্থল থেকে ধরা পড়ল তাকে জিজ্ঞেস করলেই জানা যায় কোথা থেকে, কারা এসেছে। এসব তো ভাড়াটে খুনি দিয়ে করাচ্ছে। প্রথম কথা বগটুই থেকে আমরা বলছি, তৃণমূল তৃণমূলের শত্রু। লুঠপাট দুর্নীতি হলে বখড়া নিয়ে এরকমই তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সঙ্গে আর এক গোষ্ঠীর হয়।”

এদিন সেলিম রেশন দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “এখন যে ভাবে রেশন দুর্নীতি সামনে আসছে, আমরা ৮/৯ বছর আগে এটা বলেছিলাম। কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে রেশন দোকানে চাল, আটা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিটি ধাপে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সামনে রেখে পিসি, ভাইপো ব্যবসা করেছে। কোটি কোটি টাকার মুনাফা। ১২ আনা তাদের কাছে গেছে, চার আনা জ্যোতিপ্রিয়,তার পরিবার, সাঙ্গপাঙ্গদের কাছে গেছে। আমরা এজেন্সিকে বলছি, সঠিক ভাবে তদন্ত করে মাথাদের ধরতে হবে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রে আক্রমণ নেমে আসছে। এতোদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গল্প শুনিয়ে এসেছেন সুপার স্পেশালিটি, মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের। এখন মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে সেই সব হাসপাতালে।”
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, “এই যে কি সব হিজিবিজি শুরু হয়েছে , সংবাদ মাধ্যমে হিজিবিজি দেখলাম। গতবার যা বলেছেন এবার সব বাতিল। নরেন্দ্র মোদি যেমন নিজেকে বিশ্বগুরু ঘোষণা করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেমন বিশ্ববাংলা ঘোষণা করেছে, সবই সেলফ ডিক্লেয়ার্ড। কিন্তু বিনিয়োগ কোথায়? চাকরি হচ্ছে কোথায়? তাজপুরের বন্দরের কি হবে? আমরা গভীর সমুদ্র বন্দর করার জন্য অনেকটা এগিয়েছিলাম। সমুদ্র বন্দর না হলে বাংলা বাঁচবে না। ১২ বছরে একচুল এগোতে পারেনি।”

এরপর সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, “আসলে তৃণমূলের হাতে কিছু গড়ে ওঠে না। রাজ্যে তৈরি করা গাড়ির ফ্যাক্টরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দিয়েছিলেন। এখনও সেই সঙ্কট থেকে বাংলা উদ্ধার পায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  ও তাঁর পার্টি সমাধান নয়, সমস্যা। এই সমস্যা থেকে আমাদের উদ্ধার পেতে হবে। আর এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বিজেপি -র বদান্যতায়, আরএসএস-এর দৌলতে। আমরা যখন সিজিও কম্পেক্সে গেলাম তখন এজেন্সি তৎপর হল, ডাকল। এখন সব চুপ। আসলে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন, যাতে তিনি, তাঁর ভাইপো এবং তাঁর পরিবার রক্ষা পায়।”

সেলিম এদিন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লুঠ করছে, নরেন্দ্র মোদিও লুঠ করছে। দিদির লুঠ আর মোদির লুঠ আমরা রুখব সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করে।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!