- দে । শ
- অক্টোবর ১৭, ২০২৪
ভিলেজ পুলিশের হাতে শ্লীলতাহানি পরিযায়ী শ্রমিক তরুণীর। হাতিয়ে নিল ৯৩ হাজার টাকা। গ্রেফতার ২ অভিযুক্ত

ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের হাতে পরিযায়ী শ্রমিকের শ্লীলতাহানি। হাতেয়ে নেওয়া হল ৯৩ হাজার টাকা। গ্রেপ্তার উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার অভিযুক্ক ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার । এদিন আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৩ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার হাকিমপুর–বিথারী গ্রাম পঞ্চায়েতে স্বরূপদহ সীমান্তে ।
মঙ্গলবার অভিযোগ হওয়ার পরেই পুলিশ তদন্তে নেমে আজ বুধবার অভিযুক্তকে ২ গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেঙ্গালুরু থেকে এক তরুণী বাবাকে সঙ্গে করে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের স্বরূপদহ গ্রামে আসেন। তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এলাকার বাসিন্দা। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। স্বামীর খোঁজে বাবার সঙ্গে মেয়ে স্বরূপদহ গ্রামে আসেন। অভিযোগ সে সময় কর্তব্যরত এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ও এক ভিলেজ পুলিশ নিজেদের পুলিশ কর্মী পরিচয় দিয়ে গাড়িতে তুলে বাবা ও মেয়েকে বেশ কিছুটা দূরে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করে সিভিক ভলেন্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশ । টাকা দিতে অস্বীকার করায় যুবতী শ্লীলতাহানির পাশাপাশি যুবতীর বাবাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। তরুণীর অন্তর্বাসের ভেতর রাখা নগদ ৪৬ হাজার টাকা কেড়ে নেয় ওই ২ যুবক। পরে ফোন পে–র মাধ্যমে আরও ৪৭ হাজার টাকা নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশ। মেয়েটির কান্নাকাটিতে বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে স্থানীয় মানুষ রাতে এই মেয়ে বাবাকে গ্রামে একটি বাড়িতে আশ্রয় দেন। মঙ্গলবার স্বরূপনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। অভিযোগের তদন্তে নেমে স্বরূপনগর থানার পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ার জসিমউদ্দিন সরদার, ও ভিলেজ পুলিশ মোহিত সরদারকে গ্রেপ্তার করে। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এলাকায় তাঁদের বাড়ি। বছর হল বাবা মেয়ে কর্মসূত্রে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে থাকেন। সেখানে যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় নির্যাতিতার। তাদের একটি বাচ্চাও হয়। মাস ছয়েক আগে বাচ্চাটিকে স্বামী চলে আসে। স্বামী, সন্তানের সন্ধানে ওই তরুণী তাঁর বাবাকে সঙ্গে নিয়ে স্বরূপনগর সীমান্তে এসেছিলেন।
❤ Support Us