- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ৩, ২০২৩
আমেরিকার দেওয়া “নিষিদ্ধ” ক্লাস্টার বোমা রাশিয়ার গ্রামে নিক্ষেপ করল ইউক্রেন !

মার্কিন প্রশাসনের অস্ত্রবলে বলীয়ান হয়ে ক্রমেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে জেলেনস্কির ‘লিলিপুট’ বাহিনী। এখন রাশিয়ার ঘরে ঢুকে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। রুশ আগ্রাসানের বদলা নিতে ব্যবহার করছে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা। যা কিয়েভের হাতে তুলে দিয়েছে আমেরিকা।এমনই অভিযোগ তুলেছে মস্কো।
ইউক্রেন সীমান্ত সংলগ্ন রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে এই হামলা চালায় জেলেনস্কির লিলিপুট বাহিনী। সেখানেই কিয়েভের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ। টেলিগ্রামে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “ইউক্রেনের এই হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” যদিও এই হামলায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে এখনও কিয়েভের তরফে কিছু জানানো হয়নি। গত কয়েক মাসে এইভাবেই পালটা মারে ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রের ছবিটাই বদলে দিয়েছে। দিন দিন আত্মবিশ্বাসে ভর করে নতুন নতুন রণনীতি নিচ্ছে কিয়েভ।
রাশিয়া যে ভয়াবহ হাতিয়ার ব্যবহারের অভিযোগ তুলছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে, সেই ক্লাস্টার বোমা দিয়ে কিয়েভকে সাহায্য করছে আমেরিকা। এর আগেও এই যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন জেলেনস্কি। ক্লাস্টার বোমা নাকি এতটাই ভয়ংকর যে বিশ্বের ১২০টি দেশ এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
কেন এতটা ভয়ংকর এই বোমা? ক্লাস্টার বোমা হচ্ছে এমন ভাবে তৈরী বোমা যা ফেটে গিয়ে আরও অনেক ছোট ছোট বোমা তার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে বিরাট এলাকাজুড়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমারু বিমান বা জমি থেকেও এই বোমা ছোঁড়া যায়। এক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট জায়গা নয়, বড় অঞ্চল নিশানায় আসছে। ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা খুব বেশি। তাই এই বোমার ব্যবহার এক রকম নিষিদ্ধ।
অস্ত্র রপ্তানি সংক্রান্ত কড়া আইনের ফাঁক গলে ইউক্রেনকে কেমন করে এসব হাতিয়ার দিচ্ছে হোয়াইট হাউস সেটাই বড় প্রশ্ন । ডেমোক্র্যাট পার্টির অন্দরেও এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলোও। ইউরোপের কিছু মিত্র দেশ বাইডেনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের আড়ালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ নেমেছে আমেরিকা। এমন অভিযোগও তুলেছে ক্রেমলিন।
❤ Support Us