- দে । শ
- মার্চ ২৯, ২০২৩
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ হারল সুচির দল ।ন্যাশনাল লিগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল মায়ানমারের জুন্টা সরকার
মায়ানমারের অং সান সু চি-র নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি-সহ ৪০টি রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিল মায়ানমারের জুন্টা সরকার। সু চি এখন জেলে। ৭৭ বছরের নেত্রীকে ৩৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে সে দেশের আইন। ফলতো ১০০ বছরের আগে পর্যন্ত সু চি-র জেলমুক্তির আপাতত কোনও সুযোগ নেই।
সেনা সরকার যে নতুন নির্বাচনী কানুন জারি করেছে, তাতে রাজনৈতিক দলগুলিকে পুনর্নবীকরণ করাতে হবে।এই জানুয়ারিতেই মায়ানমারের রাজনৈতিক দলগুলিকে দু’মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণ করানোর নির্দেশ দেয় সেনা। এদিকে রাজনৈতিক কর্মীদের লাগাতার ধরপাকড় চলতে থাকায়, সেদেশের কয়েক ডজন রাজনৈতিক দল পুননর্বীকরণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি। এদিকে নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর, ওই দলগুলিকে বাতিল বলে ঘোষণা করল সামরিক জুন্টা।
মায়ানমারে নির্বাচন কবে হবে, জুন্টা সরকার এর কোনও দিনক্ষণ জানায়নি।সূত্রের খবর, আগামী জুলাই মাসের শেষাশেষি নির্বাচন হতে পারে। তবে কয়েক ডজন রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণ না হওয়াতে এই দলেগুলির প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। সেনা সরকার গ্রেফতার করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের, রাজনৈতিক কর্মীদেরও লাগাতার গ্রেফতার করা হচ্ছে। চালানো হচ্ছে নির্যাতন।
২০২০ সালে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি সু চি-র নেতত্বে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এলেও তিন মাসেরও কম সময়ে সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে মায়ানমারের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে সেনা। একইসঙ্গে সু চি-কে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এনএলডি সাফ জানিয়েছে, সেনা সরকার নির্বাচন করালেও তাতে অংশগ্রহণের কোনও ইচ্ছা দলের নেই। যদি নির্বাচন হয়, তা ‘অবৈধ নির্বাচন’ হিসেবে আগেভাগেই আখ্যা দিয়েছে সু চি-র দল এনএলডি।
২০২০ সালের নির্বাচনে সু চি বিপুল ভোট নিয়ে জয়লাভের পরে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করার পরেই সেনা জানিয়েছিল, ২০২০ সালের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। যদি পর্যবেক্ষকদের কেউই এধরনের অভিযোগ করেননি।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অশান্ত। সূত্রের খবর, এপর্যন্ত অশান্তির জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১০০ জনের বেশি নাগরিকের, এছাড়া ২০ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করেছে সেনা।
একইসঙ্গে সেনার বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনও চলেছে। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে মায়ানমারে জরুরি অবস্থার সময় ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এটা করা হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ, সেনা সরকার নির্বাচন করাবে এমন একটা সময়ে, যখন বহু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা জেলে বন্দী, তাঁদের ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে।
❤ Support Us