Advertisement
  • টে | ক | স | ই
  • মার্চ ১৬, ২০২৩

চন্দ্রাভিযানে নাসার নয়া পোষাক

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
চন্দ্রাভিযানে নাসার নয়া পোষাক

চিত্র : সংবাদ সংস্থা

চন্দ্রাভিযানের জন্য মহাকাশচারীদের জন্য নতুন পোষাক আনল নাসা। হাউস্টনের সংস্থা অ্যাক্সিয়ম স্পেসসের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় স্পেসস্যুটটি তৈরি করা হয়েছে ।  মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দাবি,মহাকাশচারীরা নতুন পোষাকে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দে বিচরণ করতে পারবেন।

চাঁদে দীর্ঘ সময় কী ভাবে কাটানো যায় তা নিয়ে দীর্ঘদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছিল।তারপর, আর্টিমিস ৩ মিশন নামক মহাকাশযান তৈরি করেন নাসার বিজ্ঞানীরা । নতুন অভিযানের জন্যই নতুন পোষাকের উদ্ভাবন। সংস্থার তরফে অবশ্য পোশাকটির এক ঝলক দেখানো হয়েছে। যখন প্রশিক্ষণ হবে, তখন অবশ্য ভিন্ন রঙের স্পেসস্যুট দেওয়ার কথা বলেছে নাসা। প্রশাসক বিল নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, চাঁদে যাওয়ার ক্ষেত্রে মহাকাশচারীদের সুযোগ অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে।

নাসা সূত্রে জানা যাচ্ছে,  আর্টেমিস-৩ মিশনে একজন মহিলা ও একজন পুরুষ–দু’জন নভশ্চর নিয়ে চাঁদে যাবে নাসার রকেট। নিজদের অভিজ্ঞতায় তাঁরা  জানাচ্ছেন, হাল্কা ও আরামদায়ক স্পেসস্যুট তৈরি হয়েছে। মহাকাশে নতুন পোষাক পরিধান করে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্য স্পেসস্যুট, জুতো ইত্যাদি পরিয়ে নভশ্চরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। স্পেসস্যুটগুলির নাম দেওয়া হয়ছে অ্যাক্সিওম একস্ট্রাভেহকুলার মোবিলিটি ইউনিট বা এক্সিমু।

সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহাকাশচারীরা যাতে দীর্ঘ সময় চাঁদের মাটিতে থাকতে পারেন, তার জন্য পোশাক বানানোর ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। । চাঁদের মাটিতে উচ্চ তাপমাত্রার হাত থেকে মহাকাশচারীদের রক্ষা করার জন্য তাঁদের পোশাক সাদা রঙের করা হত, যাতে সেই পোশাক তাপ প্রতিফলন করতে পারে। তবে নতুন পোশাকের নকশায় পোশাকের উপরের স্তরটি এমন করে তৈরি করা হয়েছে যাতে পোশাকের রং যা-ই হোক না কেন, তা তাপ প্রতিফলন করতে পারবে। তবে, শুধু স্পেসস্যুট নয়,মহাকাশচারীদের চাঁদে হাঁটার জন্য বিশেষ ওয়াকারেরও বরাত দেওয়া হয়েছে অ্যাক্সিওম স্পেসকে।

নাসা আরো জানিয়েছে, চাঁদের কক্ষপথে প্রথম ‘লুনার স্পেস স্টেশন’ বানাচ্ছে নাসা। এই প্রকল্পের নাম ‘গেটওয়ে টু মুন’ বা ‘আর্টেমিস’। পৃথিবীর জোরালো অভিকর্ষজ বলের মায়া কাটিয়ে মহাকাশযানকে চাঁদে পাঠানোর জন্য অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়য়। সে কারণে যদি এমন লুনার স্পেস স্টেশন হলে সেখানে বসেই গবেষণা করা সম্ভব হবে। তাই আবার নতুন করে মহাকাশযান বানিয়ে মহাসশূন্যে পাঠাতে কোনো অসুবিধা হবে না।

প্রায় সাড়ে পাঁচ দশক আগে এডুইইন অল্ড্রিন ও নীল আমস্ট্রং চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন , তখন স্বল্পক্ষণ স্থায়ী হয়েছিল তাঁদের উপস্থিতি, কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তি আরো উন্নত। যা চাঁদে দীর্ঘদিন কমপক্ষে ১ সপ্তাহ গবেষণা কার্য চালানোর সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। যা পৃথিবীর নিকটতম ও একমাত্র উপগ্রহ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্যের সন্ধান দেবে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!