Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ২৯, ২০২৪

বিহারের ‘বিশেষ’ মর্যাদার দাবি পাশ জেডিইউ বৈঠকে, সংরক্ষণের ‘নতুন’ আইনের ওপরেও কেন্দ্রকে প্রস্তাব

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিহারের ‘বিশেষ’ মর্যাদার দাবি পাশ জেডিইউ বৈঠকে, সংরক্ষণের ‘নতুন’ আইনের ওপরেও কেন্দ্রকে প্রস্তাব

বিহারের শাসক দল জনতা দল ইউনাইটেডের বৈঠকে কেন্দ্রের কাছে বিহারের জন্য ‘বিশেষ মর্যাদা’-র দাবির প্রস্তাবটি পাশ হল।শনিবার দিল্লির কন্সটিটিউশন ক্লাবে আয়োজিত দলের কার্যনির্বাহী সভায় এই দাবি সর্বসম্মতিক্রমে পেশ করা হল।
কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির সরকার অনেকটাই জোট নির্ভর। নীতিশ কুমারের দলের তরফে একাধিক দফতরের মন্ত্রীত্বের দাবির পর এবার ‘ঝোপ বুঝে কোপ’ মারলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। ।
দলের একজন বর্ষীয়ান নেতা জানিয়েছেন, বিহারকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি নতুন নয়। বিহারের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি করতে ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই বিশেষ ক্যাটেগরি পাওয়া খুব দরকার।
শুধু তাই নয়। এই বৈঠকে বিহারের নতুন সংরক্ষণ নীতির রক্ষাকবচের জন্যও পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিহারে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া কোটা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা হয়েছে। সে নীতি বাস্তবায়নে যেন কোনও আইনি জটিলতা সৃষ্টি না হয় তার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।উল্লেখ্য, নীতিশ কুমারের ভোট প্রচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ছিল এই নতুন ‘সংরক্ষণ’ ব্যবস্থা ।
১৯৬৯ সালে গাডগিল কমিটির অনুমোদনে বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি পায় জম্মু-কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড ও অসম। পরে মণিপুর, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড , হিমাচল প্রদেশ, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, সিকিম, মেঘালয় এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সেসব রাজ্য দুর্গম ভৌগলিক অবস্থানে অবস্থিত, যেখানে লোকসংখ্যার ঘনত্ব বেশ কম, আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে অবস্থিত এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া, সে রাজ্যগুলিই ‘বিশেষ’ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য হয় ।নিয়মানুযায়ী, ‘বিশেষ মর্যাদা’ পাওয়া রাজ্যগুলি কেন্দ্রের কাছে অধিক গুরুত্ব পাবে। করের ক্ষেত্রে দেওয়া হবে বিশেষ ছাড় ।
কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার অনেকটাই জোট নির্ভর। অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশমের পর নীতিশ কুমারের জে ডি ইউ তাদের অন্যতম বড় শরিক। কেন্দ্রে সরকার টিকিয়ে রাখতে এই দুই শরিকের মন জুগিয়ে চলতে হবে এন ডি এ-কে । ফলে নীতিশ কুমার যে কেন্দ্রের ওপর এক প্রকার চাপ সৃষ্টি করছেন তা সহজেই অনুমেয়। এখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি কেন্দ্র অনুমোদন দেয়, নাকি জোটের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়, তা বলবে সময়।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!