Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মার্চ ৮, ২০২৩

বিলাবলের মন্তব্যের কড়া জবাব রুচিরার। পাক বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য প্রতিক্রিয়ার অযোগ্য,নিরাপত্তা পরিষদে ভারতীয় প্রতিনিধির তীব্র ভর্ৎসনা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিলাবলের মন্তব্যের কড়া জবাব রুচিরার। পাক বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য প্রতিক্রিয়ার অযোগ্য,নিরাপত্তা পরিষদে ভারতীয় প্রতিনিধির তীব্র ভর্ৎসনা

কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাক বিদেশমন্ত্রীর দাবিকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিল ভারত। নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী ভারতীয় প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ বলেছেন , বিলাবলের অসত্য ঘৃণাপূর্ণ মন্তব্য  কোনো প্রতিক্রিয়া জানানোর অযোগ্য।  তাঁর মতে, ভ্রান্ত অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে  সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। মানব কল্যাণের জন্য তা একান্ত প্রয়োজন।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে  নিরাপত্তা পরিষদ নারী,  শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক একটি  বিতর্ক সভার  আয়োজন করে। মোজাম্বিকে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিলাবল বলেন,   ভারতের অধিকৃত কাশ্মীরে  ও ফিলিস্তিনে রাষ্টযন্ত্রের মদতে সাধারণ  নাগরিকের ওপর নৃশংস আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে। বহু নারীও বর্বরোচিত আক্রমণের শিকার হয়েছেন। বিদেশি দখলদারদের  তিনি এ ব্যাপারে দায়ী করেছেন।  রুচিরা বিলাবলের এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, পরিকল্পিত ভাবে হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে পাকিস্তান।  জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের কেন্দ্রশাসিত এলাকা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এ ব্যপারে বাইরের কোনো দেশের মন্তব্য অনভিপ্রেত।

কাশ্মীর ইস্যু জাতিপুঞ্জে তুলে আন্তর্জাতিক সমর্থনকে নিজেদের পাশে আনতে চায় পাকিস্তান। গত কয়েকমাস ধরে বিলাবলের একাধিক ভারত বিরোধী মন্তব্যে এ ইঙ্গিত স্পষ্ট।  পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা সঙ্গীন। জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য। এমতাবস্থায় ভারত বিরোধী যুদ্ধ পরিচালনা প্রায় অসম্ভব। তাই কাশ্মীর ইস্যুতে  আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় গণতন্ত্রের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতে ব্যস্ত ইসলামাবাদ।

তবে,  নয়াদিল্লি পাক অপপ্রচারকে পাত্তা দিতে নারাজ । কাশ্মীর ইস্যুতে নিজেদের দৃঢ় অবস্থান  বার বার জানিয়েছে ভারত। কয়েকদিন আগেও পাক মন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের ভারত বিরোধী মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েচ্ছিলেন ভারতীয় প্রতিনিধি সীমা পূজানি। দেশকে শান্তি ও প্রগতির পথে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ  দিয়েছেন ভারতীয় প্রতিনিধি। কিন্তু পাকিস্তান পাকিস্তানেই রয়েছে।  প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মন্তব্য করবার চিরাচরিত রীতি থেকে বেরনোর কোনো লক্ষন নেই। অতীতে অটল বিহারী বাজপেয়ী ও মুশারফ দুদেশের সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যে যে প্রয়াস গ্রহণ করেছিলেন আজ তাঁর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। নেই তেমন রাষ্ট্রনেতাও । এমন পরিস্থিতিতে বিদ্বেষকে হাতিয়ার করতে চাইছে  মৈত্রী ও শান্তির  দুশমনরা।  

  


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!