Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩

“অভিষেকের নাম বলার পরেই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা, সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিরা বাধাদান করছেন,” আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডির

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
“অভিষেকের নাম বলার পরেই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা, সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিরা বাধাদান করছেন,” আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডির

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার অফিস থেকে ফাইল ডাউনলোড করার অভিযোগ। সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র বিরুদ্ধে রীতিমতো সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। মামলা পৌঁছেছে কলকাতা হাইকোর্টেও। সেখানে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল ইডি. তাদের দাবি, তদন্তের গতি স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিরা এই বাধাদানের কাজ করছেন।

ইডি বৃহস্পতিবার আদালতে এই দাবি করেছে. “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও আছেন, এই বিষয়টি প্রেস বিবৃতি দিয়ে  জানানোর পর থেকেই ইডি-র  বিরুদ্ধে হয়রানি শুরু হয়েছে। আমাদের বলতে বাধা নেই যে সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের নির্দেশে এসব হচ্ছে।” লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার কম্পিউটার থেকে সকলের অজান্তে ১৬টি ফাইল ডাউনলোডের অভিযোগ রয়েছে ইডি-র বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে কলকাতা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধেও মারাত্মক অভিযোগ করেছে  ইডি। আদালতে এদিন ইডি-র তরফে বলা হয়, “বার বার এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তদন্তের গতি স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে। পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে, নেপথ্যে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে।” লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ফাইল ডাউনলোড মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগও করেছে ইডি।

রাজ্য ইডি-র অভিযোগের জবাব দিতে মুহূর্ত দেরি করেনি। রাজ্যের তরফে আদালতে বলা হয়েছে, “লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের তল্লাশিতে আসল ইডি গিয়েছিল কিনা, জানব কী করে ? মাঝে মধ্যেই ভুয়ো সিবিআই ইডি-ইডি – সিআইডি আধিকারিক ধরা পড়ছে। তাই যাঁরা তল্লাশিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের পরিচয় জানতে চেয়েছে পুলিশ। আমরা ইডি-র কাছে ইমেল মারফত কিছু প্রশ্নের উত্তর চেয়েছি, এতে আবার হয়রানির কী আছে? সাইবার শাখায় অভিযোগ করা হয়েছিল, সেই প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চলছে। কখনও ইডি-র কাজে হস্তক্ষেপ করা হয়নি। ইডিই বরং এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করেছে। তাই আমাদের অনুসন্ধান করতে হচ্ছে। আর ইডি নিজেই ভুল স্বীকার করেছে।”

১৬টি ফাইল ডাউনলোডের তদন্ত নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বৃহস্পতিবার রাজ্যকে প্রশ্ন করে জানতে চান, “যে জেনারেল ডায়েরি দায়ের হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ করেছেন?” জবাবে রাজ্য বলে, “আমরা যা করছি, সবটাই আদালতের নজরদারিতে রয়েছে।” এতে বিচারপতি সিনহা বলেন, “আমি খুশি হতাম, রাজ্য যদি সব জেনারেল ডায়েরির ক্ষেত্রে এত দ্রুত পদক্ষেপ করত। এই মামলার ক্ষেত্রে অতি সক্রিয়তার কারণ কী? কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে?”

এদিন ইডি-কেও ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ইডি আদালতে বলে, “আমাদের তদন্তে পুলিশ বেআইনিভাবে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে।” তাতে বিচারপতি সিনহা বলেন, “আপনাদের আধিকারিকও ঠিক কাজ করেননি।” ইডি আদালতে এদিন জানায়, ফরেন্সিক রিপোর্টে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, হস্টেল বা কলেজ সংক্রান্ত তথ্যের বাইরে ওই ১৬টি ফাইলে কিছু নেই। আদালতেও মুচলেকা দিয়ে তা জানানো হয়েছে। তদন্তে ওই ১৬টি ফাইল কোনও ভাবে ব্যবহার করা হবে না। এর পর মৌখিক নির্দেশে বিচারপতি জানান, মামলাটি বিচারাধীন থাকাকালীন, ওই ১৬টি ফাইল নিয়ে তদন্তে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!