Advertisement
  • দে । শ
  • মে ২, ২০২২

পড়ুয়াদের ক্ষতি, স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

সরকারি ছুটি নির্দেশিকা 'অমান্য' করেই খোলা নৈহাটি-তারকেশ্বরের স্কুল, চলছে পরীক্ষাও ।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পড়ুয়াদের ক্ষতি, স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

দিনকয়েক আগে বাংলার একাধিক জেলার তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। মূলত পশ্চিমের জেলাগুলি তাপমাত্রার সতর্কতাও জারি করে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ২মে থেকে রাজ্যের প্রত্যেকটি সরকারি স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটির কথা জানান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ফলে টানা ৪৫ দিন গ্রীষ্মের ছুটি পাচ্ছে পড়ুয়ারা। গ্রীষ্মের ছুটির মেয়াদ নিয়েই এবার উঠল প্রশ্ন। কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।মামলাকারীর দাবি, করোনাকালে একেই দু’বছর বন্ধ ছিল স্কুল। তার ফলে পড়ুয়াদের পড়াশোনার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এবার একটানা ৪৫ দিন গ্রীষ্মের ছুটি থাকলে পড়ুয়াদের আরও ক্ষতি হবে। তাই অবিলম্বে ছুটির মেয়াদ নিয়ে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন মামলাকারী।

স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি নিয়ে কেরল সরকারের সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেছে মামলাকারী। কারণ, কেরলে পড়ুয়াদের স্বার্থে গ্রীষ্মের ছুটি ১০ দিন কমিয়ে দেওয়া হয়। সে রাজ্যের অনুকরণেই বাংলাতেও গ্রীষ্মের ছুটি কমিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি।

‘ছুটি’ নির্দেশিকা অমান্য করল নৈহাটির ৩টি সরকারি স্কুলে। সরকারি নির্দেশ ‘উপেক্ষা’ করেই সেখানে পরীক্ষাও চলছে। একই ছবি তারকেশ্বরেও। সরকারি নির্দেশিকা ‘অমান্য’ করে তারকেশ্বরের বালিগরী অধরমনি দত্ত বিদ্যামন্দিরেও চলছে পরীক্ষা। অভিভাবকদের স্কুল খোলা থাকায় কোনও আপত্তি নেই। বরং তাঁরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সঙ্গে ‘সহমত’।

অভিভাবকরা দাবি করছেন, ‘স্কুল খোলা থাক। পরীক্ষা হোক। কারণ এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায় ক্ষতি হয়েছে বাচ্চাদের পঠনপাঠনের। বাচ্চারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। তাই স্কুল অন্তত পরীক্ষা পর্যন্ত খোলা থাকুক। পরীক্ষাটা হোক। স্কুলের তরফে আমাদের সবার মতামত চাওয়া হয়েছিল। আমরা স্কুল খোলা রাখার পক্ষে সইও করেছি।’ তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

তারকেশ্বরের বালিগরী অধরমনি দত্ত বিদ্যামন্দিরেও এদিন পরীক্ষা চলছে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা চলছে বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রেও অভিভাবকদের সাথে মৌখিক আলোচনার ভিত্তিতে স্কুল খুলে রেখে পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্কুল পরিচালন সমতির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, ‘সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হয়নি, ভুল হয়েছে।’

তবে একইসঙ্গে তিনি জানান, “ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবেই শেষদিনের পরীক্ষাটা নেওয়া হয়েছে। আর সেটা অভিভাবকদের সাথে মৌখিক আলোচনা করেই।” অভিভাবকরাও দাবি করেছেন, “পরীক্ষার সূচি ছুটি ঘোষণার আগেই স্থির হয়েছিল। আজ পরীক্ষার শেষ দিন। দেড় মাস পর একটা পরীক্ষা হলে ছাত্রছাত্রীদেরই অসুবিধায় পড়তে হবে। সেই কারণেই আজ পরীক্ষা দিচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!