- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১৯, ২০২৩
জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে, জাপান সফরে মোদি

ত্রিদেশীয় সফরের প্রথম ধাপে জাপান পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে আয়োজিত জি-৭ সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে জাপান সফরে এসেছেন। অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। ২১ মে পর্যন্ত জাপানে থাকবেন। তারপর পাপুয়া-নিউগিনি, অষ্ট্রেলিয়াতে গিয়েও বক্তব্য রাখবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি প্রথম হিরোশিমায় বক্তব্য রাখবেন। বর্তমানে বিশ্ব বেশ কিছু গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন। তা নিয়ে জি-৭ সম্মেলনে গঠনমূলক আলোচনা হওয়া জরুরি। দেশ ছাড়ার আগে টুইট বার্তায় একথা জানান তিনি। অনুমান করা হচ্ছে, খাদ্য ও জ্বালানির সরবরাহ নিয়ে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখতে পারেন। জাপানে পৌঁছে তিনি বলেন, অংশগ্রহণকারী দেশ সমূহ পারস্পরিক সহযোগিতায় বিশ্বাসী তাই সমস্যা সমাধানে যৌথ উদ্যোগ অধিক গুরুত্ব পেতে পারে।
জাপানের পর যাবেন পাপুয়া নিউগিনি। এটি হবে সে দেশে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। ২২ মে তিনি ফোরাম ফর ইন্ডিয়া-প্যাসিফিক আইল্যান্ডস কোঅপারেশন এর তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলনের সহ-সভাপতি হবেন। প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে যৌথভাবে এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন। এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তন , ক্ষমতার বিকাশ ও আর্থিক পরিকাঠামোগত বিষয়ে ভারত ও পাপুয়া নিউগিনি যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। আগামী দিনেও এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সফরের তৃতীয় ধাপে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো মজবুত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এছারাও বিভিন্ন শিল্প সংস্থার প্রধান ও সেদেশে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে একটি আলোচনা চক্রে যোগ দিতে পারেন মোদি।
বিশ্ব জুড়ে চিন ও রাশিয়ার আধিপত্যের বিপরীতে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর ভিন্ন এক শক্তি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলছে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার নিন্দায় সরব প্রায় সবকটি দেশ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক ইতিমধ্যে তার নিজ দেশে রাশিয়ান খনিজ দ্রব্য যেমন- হিরে,তামা, নিকেল এবং অ্যালুমিলিনিয়মের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ক্রেমলিন যুদ্ধ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধেই তাঁদের এ সিদ্ধান্ত। অন্যান্য দেশগুলোও এ ব্যাপারে অগ্রসর হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে হিরোসশিমায় আয়োজিত জি-৭ সম্মেলনে নিয়ে সে দেশেরই কোনো কোন মহলে আপত্তি দেখা দিয়েছে। দেশের এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী, রাজপথে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, বিশ্বশান্তির কথা বলা হলেও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে সম্মেলনের সদস্যদেসগুলো কখনোই আগ্রহ দেখায়নি। তাই এ ধরনের শান্তি বৈঠকের উপযোগিতা কতটা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
❤ Support Us