- এই মুহূর্তে দে । শ
- আগস্ট ৯, ২০২৩
বিলকিস বানো মামলায় সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ, আইনি সিদ্ধান্তে গণ-অসন্তোষ কখনোই বিচার্য নয়
বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত দোষীদের সাজা মকুবকে ঘিরে জনমানসে যে শোরগোল তৈরি হয়েছে তাকে সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমাজে কোনো রায়কে কেন্দ্র করে কোন প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে বা হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া পরিচালিত হয় না। উপযুক্ত নথিই সেখানে বিবেচ্য বিষয়। আদালতের পর্যবেক্ষণকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
মঙ্গলবার বিলকিসের আইনজীবী শোভা গুপ্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি বিভি নাগারত্না ও উজ্জ্বল ভুয়া প্রশ্ন তোলেন , সমাজে যদি কোনো রায়কে ঘিরে গণ অসন্তোষ না থাকে তাহলে সেক্ষেত্রেও কি আগের রায়ই বহাল রেখে দিতে হবে? আদালতের কোনো নির্দেশেকে নিয়ে সাধারণ মানুষের আপত্তি থাকা মানেই সেটা ভুল- এমন চিন্তাধারার যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, আবেদনকারীর উকিল জানিয়েছিলেন, বিলকিসের ধর্ষণকারী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের সাজা মকুব করে দেওয়ায় জনমানসে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তাই েক্ষেত্রে রায় পুনর্বিবেচনা করা দরকার।
২০২২ সালের আগস্ট মাসে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের প্রাক্কালে, গুজরাট গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্তদের সাজা মকুবের কথা ঘোষণা করে গুজরাট সরকার। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয় গোটা দেশ জুড়ে। প্রশাসনের দাবি, ১৯৯২ সালে গৃহীত শাস্তির মেয়াদ কমানোর নীতির ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি , স্বাধীন সাংবাদিক রেবতী লাল, লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রূপরেখা ভার্মা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও একই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তবে পৃথকপভাবে। এ নিয়েও রয়েছে আগামীকাল রয়েছে শুনানি।
❤ Support Us