- দে । শ
- মার্চ ৩১, ২০২৪
বজরং উপসনায় কালনায় সম্প্রীতির উৎসব
ভোটের আবহে চারপাশে ঝলসে উঠছে হিংসা, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতা। এসবকে পাশে রেখে বাজল সম্প্রীতির সুর কালনা শহরের কদমতলা এলাকায়। বজরংবলীর পুজোয় রোজা রেখে যোগ দিলেন এলাকার বাসিন্দা ইসলাম শেখ, রেজাউল ইসলাম শেখরা। মোমবাতি জ্বালালেন। পুজো পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল এলাকার যৌনকর্মীদেরও। পুজোর উদ্বোধন পর্বে হাজির হয়ে কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ সম্প্রীতির এমন ছবিতে আপ্লুত। বললেন, ‘এই হল মমতা ব্যানার্জির বাংলা। যে বাংলা নজরুলের একই বৃন্তে দুইটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান দর্শনকে চোখের মণির মত আগলে রেখেছে।’
কালনা পুরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কদমতলা এলাকায় বজরংবলীর পুজো এবার ৯ বছরে পড়ল। পুজো পরিচালনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৪০ জন। তার মধ্যে মুসলিম সদস্যই ৮ জন। ৩ দিনের এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমরজিৎ হালদার জানান, ‘সারা দেশে একটি রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষজনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তার প্রতিবাদ জানাতেই বজরংবলীকে সামনে রেখে আমরা সম্প্রীতি আর সৌভ্রাতৃত্বের বাঁধনটাকে মজবুত করতে চাইছি।’ পুজো পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ইসলাম শেখ নামে এক যুবক জানান, ‘যে সম্প্রীতি আপনারা দেখছেন, এটা আমাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমরা এই সম্প্রীতিটাকেই লালন করে আসছি। আমাদের পরবে যেমন হিন্দু ভাইয়েরা যোগ দেন, তেমনই হিন্দুদের পুজো বা উৎসবে আমরা যোগ দিয়ে খুবই আনন্দ করি। হিন্দু বা মুসলিম ২ সম্প্রদায়েরই পুজো-পরব আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে আমাদের বিশ্বাস।’ আরেক উদ্যোক্তা মুজিবর শেখের কথায়, ‘আমরা যেমন রোজা ভেঙে নমাজ পড়ি, তেমনি মণ্ডপে গিয়ে দেবতার কাছে প্রার্থনাও করি।’ অন্য উদ্যোক্তা অর্জুন দাস বা সমীর মণ্ডল বললেন, ‘সম্প্রীতি আমাদের সম্পদ।’ পুজো উপলক্ষ্যে দুশোরও বেশি দুঃস্থকে নতুন বস্ত্র, প্রয়োজনীয় জিনিস বিতরণ করা হয়। এছাড়াও কয়েক হাজার মানুষের অন্নসত্র আয়োজন করা হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা। রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
❤ Support Us