- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- মে ৯, ২০২৩
বিচারাধীন বিষয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য অনভিপ্রেত, কড়া প্রতিক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের

কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। এই পরিস্থিতিতে কর্নাটকে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যে শিক্ষায় এবং সরকারি চাকরিতে চার শতাংশ আসন সংরক্ষণ প্রত্যাহার সম্পর্কিত মামলা প্রসঙ্গে, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। আর বিচারাধীন বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য করাটা অনভিপ্রেত। এক্ষেত্রে খানিক পবিত্রতা বজায় রাখা উচিত।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কেএম জোশেফ এবং বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লাজের বেঞ্চ জানিয়েছে, কর্নাটকে মুসলিমদের সংরক্ষণের বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া একেবারেই ঠিক কাজ নয়।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে এই মামলায় আবেদনকারীদের পক্ষের আইমজীবী দুষ্মন্ত সিং আদালতে বলেছেন, আসন্ন কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জনসমক্ষে রাজ্যে মুসলিমদের চার শতাংশ সংরক্ষণ নিয়ে জনসমক্ষে মন্তব্য করছেন। শাহ বলেছেন, মুসলিমদের চার শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করেছে বিজেপি।
এরপর বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রশ্ন তোলেন, কেউ কেন এধরনের মন্তব্য করলেন বিষয়টি বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও?
এদিন কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মুসলিমদের চার শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করা প্রসঙ্গে মন্তব্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেছেন, শাহ কীসের প্ৰেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন, তা দেখা দরকার। যদি কেউ ধর্মীয় ভিত্তিতে সংরক্ষণের নীতিগত বিরোধিতা করেন, সেক্ষেত্রে বিষয়টা সম্পূর্ণ যুক্তিযুক্ত।
এর জবাবে এদিন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি বেঞ্চের তরফে সলিসিটার জেনারেলকে পাল্টা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, বিচারাধীন কোনও বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা কিংবা না করাটা শৃঙ্খলা বজায়ের বিষয়, যা মেনে চলা উচিত। জনসমক্ষে এধরনের মন্তব্য করা যায় না।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল কর্ণাটক সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, সবদিক বিবেচনা করে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ধর্মের ভিত্তিতে মুসলিমদের জন্যে শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ অসাংবিধানিক। সেকারণেই চার শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে, যদিও শীর্ষ আদালত তার প্ৰথম শুনানিতেই সরকারের নিয়ম বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে বলেছেন, সেরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন পর্ব, অর্থাৎ ১০ মের পর সে বিষয়ে রায় দেবে শীর্ষ আদালত।
❤ Support Us