- এই মুহূর্তে
- মে ১২, ২০২২
বৌবাজারে আবার আতঙ্ক, আচমকা পাঁচ পাঁচটি বাড়িতে ফাটল! মেট্রোরেলের কাজের জের? নাকি অন্য ‘ভিলেন’?

মেট্রো সূত্রে খবর, শিয়ালদহ-ধর্মতলা টানেল নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। টিবিএম তোলার পরে অবশিষ্ট মাটি কেটে সিমেন্টের দেওয়াল ও মেঝে বানানোর কাজ চলছিল সমানভাবে। শহরের ভারী বৃষ্টিতেই কাটল তাল, প্রাথমিক অনুমান ইঞ্জিনিয়ারদের। ২০১৯ সালে ধর্মতলার দিক থেকে টিবিএম (টানেল বোরিং মেশিন) চণ্ডীকে শিয়ালদা অভিমুখে নিয়ে যাওয়ার সময় বিপত্তি ঘটেছিল। সেবার মূলত ভূগর্ভস্থ জলাধরের দেয়াল ফেটেই বিপর্যয় ঘটেছিল। প্রাথমিকভাবে আতঙ্কের ধাক্কা সামলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর শিয়ালদহর দিক থেকে রওনা করা হয় টিবিএম উর্বিকে।
টিবিএম উর্বি বউবাজার পর্যন্ত গেলে টিবিএম চণ্ডীর মুখোমুখি অবস্থানে অল্প ব্যবধান রেখে শেষ করা হয় টিবিএম এর কাজ। ঠিক করা হয়েছিল বাকি কাজ টিবিএম এর সাহায্য ছাড়াই করা হবে। বউবাজার এ দুর্গা পিতুরি লেনে ধ্বসে যাওয়ার পরে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাড়িগুলোর জায়গায় মেট্রোর তরফে তৈরি করা হয় একটি ৪০X১০X২৫ মিটার সাইজের প্রকোষ্ঠ। মূলত টিবিএম তোলা এবং অন্যান্য অবশিষ্ট কাজের জন্যই বানানো হয় প্রকোষ্ঠটি। এই প্রকোষ্ঠ র নিচের অংশেই ছিল দুটি টিবিএম। ২০২১ এর ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় টিবিএম এর যন্ত্রাংশ বের করার কাজ। গত ৩ সপ্তাহ আগে শেষ যন্ত্রাংশ বের করা হয় টিবিএম উর্বির। যদিও ভেতরের যন্ত্রাংশ বের করা হলেও ধাতব খোলকে রেখে দেওয়া হয় টানেলের মধ্যেই। তারপর থেকেই চলছিল দুই টিবিএম এর মাঝের অবশিষ্ট স্পর্শকাতর অংশটি কাটার কাজ।
মেট্রো সূত্রে খবর এই কাজ সম্পূর্ণ করা গেলেই সম্পূর্ণ হত শিয়ালদা-ধর্মতলা মেট্রোর টানেলের কাজ। মাটি কেটে সিমেন্টের দেওয়াল ও মেঝে বানানোর কাজও চলছিল সমানভাবে। কিন্তু তাল কাটলো কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাত। যার ফলে (প্রাথমিক অনুমান), মাটির নিচের জলস্তর হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায়, জল উঠতে শুরু করে নীচ থেকে। ফাটল ধরে যায় সংলগ্ন ৫টি বাড়িতে। আশঙ্কাজনক অবস্থা থাকায় ফাঁকা করানো হয় আরও তিন চারটি বাড়িকে। ঘরছাড়া হন প্রায় ৮০-৯০ জন মানুষ।
মেট্রোর কাজ চলাকালীন বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের অন্তত ৮-১৮টি বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। আতঙ্কে ঘর ছেড়েছে বহু পরিবার। তাঁদের অনেকেরই বর্তমান ঠিকানা ক্রিক রো-এর কিউ ইন হোটেলে। ৯ নম্বর দুর্গা পিটুরী লেনের একজন বাসিন্দা বলেছেন, ‘মেট্রো টানেলের বিপর্যয়ের জন্য আগের বারও প্রায় এক বছর হোটেলে ছিলাম, আবার একই পরিস্থিতি। মেট্রো চালু হওয়ার আগেই এত ঝামেলা, শুরু হলে কি হবে কে জানে। ‘
❤ Support Us