- ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র
- ডিসেম্বর ২০, ২০২২
পুরস্কৃত অদ্বিতীয় ‘সাহিত্য’-র শিখা

স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ আসরে, বরাকের ঐতিহ্যবাহী লিটল ম্যাগাজিন, ‘সাহিত্য’ পত্রিকার সম্পাদক শিখা ভট্টাচার্যকে ভাষা শহিদ কমলা -সুদেষ্ণা পুরস্কারে সম্মানিত করা হল। ১৮ ডিসেম্বর। শিলচরের সৌরমিতা আর্ট গ্যালারিতে। বরাকের সাহিত্য আন্দলনে সাহিত্য পত্রিকার অবদান অসামান্য। হাইলাকান্দির মত একটি প্রান্তিক শহর থেকে গত কয়েক দশক জুড়ে পত্রিকাটির বিরতিহিন প্রকাশ বিস্ময়কর নয় শুধু, বঙ্গ সংস্কৃতির ইতিহাসে এক দিক প্রসারী ঘটনা। কবি বিজিৎ কুমার ভট্টাচার্যের সাংগঠনিক উদ্যোগে প্রথম প্রকাশের পর কখনও সাহিত্য নিয়ম চ্যুত, আদর্শ চ্যুত হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ ত্রিপুরা, আসাম এবং প্রবাসী কবি আর লেখকদের অপ্রতিহত মুখপত্র হিসেবে সাহিত্য এর গুরুত্ব সুচিহ্নিত। প্রতিষ্ঠা ষাটের দশকে। শুরু থেকেই স্পষ্ট আর সুদৃঢ় ও তার অভিমুখ। কখনও আপোষ করেনি। বিজ্ঞাপনের দ্বারস্থ না হয়েও এরকম সর্বগ্রাহ্য পত্রিকা চালানো সম্ভব, তার অপরাজেয় দৃষ্টান্ত সাহিত্য। হাইলাকান্দি থেকেই প্রকাশিত ত্রিদিব মালাকার-দীপক ভট্টাচার্য সম্পাদিত ‘স্বপ্নিল’ এক সময় বঙ্গীয় সমতটের কবিদের প্রতিনিধি মঞ্চ হয়ে উঠেছিল।বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। তারপর শিলচর থেকে প্রকাশিত অতন্দ্রও টিকল না। জেগে রইল, আজও ‘সাহিত্য’। প্রথমে বিজিৎ ভট্টাচার্যের সম্পাদকীয়, পরে শিখা ভট্টাচার্যর সার্বিক নেতৃত্বে।বিলম্বিত হলেও, শিখাকে সম্মাননা জানিয়ে বাংলা ভাষার খ্যাতিমান, খ্যাতিহীন কবি লেখক আর লিটল ম্যাগাজিনকে প্রকারান্তরে সম্মানিত করা হল।
সম্মান অনুষ্ঠানে শিখা হাজির হতে পারেনি। তার হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন কবি তমোজিৎ সাহা।
সৌজন্য; সাময়িক প্রসঙ্গ
❤ Support Us