- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২৪, ২০২৩
দিব্যাঙ্গদের কাজের অধিকার নিশ্চিত করতে দেশে পথিকৃৎ সিকিম
দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে প্রতিবন্ধী আইন, ২০১৬ কার্যকর করার পথে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট এ রাজ্যটি। সিকিম হাইকোর্ট ও রাজ্য সরকার উভয়ে মিলে যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আইনের ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা হবে

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের আত্মমর্যাদার সঙ্গে বাঁচার লক্ষ্যে নতুন দিশা দেখাচ্ছে সিকিম। দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে প্রতিবন্ধী আইন, ২০১৬ কার্যকর করার পথে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট এ রাজ্যটি। সিকিম হাইকোর্ট ও রাজ্য সরকার উভয়ে মিলে যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আইনের ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা হবে। যা বাস্তবায়িত হলে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে সুনিশ্চিত হবে সমাজের অবহেলিত মানুষদের একাংশের প্রতিনিধিত্ব।
প্রতিবন্ধী আইনের ৩৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করতে হবে। যা প্রত্যেক তিন বছর অন্তর যতগুলো শূন্যপদ রয়েছে তাতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের জন্য অক্ষমতার কোন মানদণ্ড স্থির করা রয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করে দেখবে। তাঁদের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরবর্তী অর্থাৎ ৩৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, প্রত্যকে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে মোট শূন্য পদের ৪ শতাংশ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। যাতে বাড়বে সরকারি পরিষেবায় প্রতিবন্ধীদের যোগদানের সংখ্যা।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা তাঁদের শারীরিক ও মানসিক গঠন বৈশিষ্ট্যের জন্য সমাজে অনেক ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার হন। এপ্রবণতা বন্ধ করতে বহু আইন পূর্বে আনা হয়েছে। তবে, ২০১৬ সালের প্রতিবন্ধী আইনে বলা হয় যে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা সমাজে আর পাঁচজনের সমমর্যাদার অধিকারী। তাঁদের অসম্মান অনুচিত। নানা ধারা ও উপধারায় সুনিশ্চিত করা হয়েছিল তাঁদের অধিকার। এতদিন পর্যন্ত সরকারি উদাসীনতায় অবহেলিত হয়েছে এ আইন। সিকিমের পদক্ষেপ আরো অনেক রাজ্যে প্রতিবন্ধীদের ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াইকে অনুপ্রাণিত করবে। আশাবাদী বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগঠনের কর্মী ও সদস্যরা।
❤ Support Us