- দে । শ
- এপ্রিল ২৫, ২০২৩
ছোটো দোকানদারদের ফি মকুব, পুরসভার ঘোষণায় স্বস্তিতে মহানগরের ব্যবসায়ীরা

মহানগরের ছোটো ব্যবসায়ীদের দেয় করের পরিমাণ কমালো কলকাতা পুরসভা। এখন থেকে ট্রেড লাইসেন্স ফি ছাড়া আর কোনো অতিরিক্তি টাকা দোকানদের দিতে হবে না। সোমবার মেয়র পারিষদের বৈঠকে ঘোষণা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে, হোটেল ও রেঁস্তোরার ক্ষেত্রে আগের নিয়মই বহাল থাকছে।
ট্রেড লাইসেন্স ফি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। শহরের ছোটো দোকানদাররা বহুবার বলেছেন যে , সামান্য ১০০ বর্গফুটের জায়গা ব্যবহার করার জন্য পুরসভাকে প্রত্যকে বছর মোটা অঙ্কের টাকা ফি বাবদ দিতে হয়। এ ব্যাপারে দালাল চক্রের ভূমিকার কথাও অনেকে উল্লেখ করেছেন, তাঁদের মতে, এজেন্টদের পাল্লায় পড়ে পারমিট রিনিউ করতে গেলে প্রচুর টাকা দিতে হয়। করোনা পরবর্তী সময়ে তাঁদের আর্থিক দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাঁরা বার বার আবেদন করেছিলেন। বিজেপি কাউন্সিলরাও চুপ থাকেননি। ব্যবসায়ীদের দাবি নিয়ে সোমবার দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সজল ঘোষ ও মীনা দেবী পুরোহিতরা। পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমারের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারক লিপি তাঁর হাতে তুলে দেন।
পুরকর্তারা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কখনো অনীহা দেখাননি। সোমবার আলোচনার জন্য ফিরহাদ হাকিম মেয়র পারিষদের বৈঠক আহ্বান করেন । সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ৫০০ বর্গফুট আয়তন পর্যন্ত যাঁদের দোকান রয়েছে ,তাঁদের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আর অন্য কোনো ফি দিতে হবে না। এতদিন জঞ্জাল পরিষ্কার, নিকাশি ও জল সরবরাহ বাবদ যে অতিরিক্ত অর্থ তাঁদের দিতে হত এবার থকে সেই টাকা দেওয়ার দায় থেকে তাঁরা মুক্ত হলেন। মেয়র বলেছেন, ব্যবসা বড়ো হতেই পারে। কিন্তু তার জন্য ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আড়াই হাজার টাকার এক পয়সা বেশি নেওয়া যাবে না। তবে, হোটেল রেঁস্তোরাকে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেছেন, খাবারের দোকানে উচ্ছিষ্ট বেশি পরিমাণে জমা হয় । পানীয় জলও সেখানে অনেক বেশি প্রয়োজন। তাই তাদের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও অন্যান্য পরিষেবা ব্যবহারের জন্য টাকা দিতে হবে। দোকনদাররা হলফনামা দিয়ে জানাবেন কতটা পানীয় জল তাঁরা ব্যবহার করছেন, কতটা আবর্জনা দোকান থেকে তুলতে হচ্ছে। সেই অনুযায়ী টাকা নেবে পুরসভা।
❤ Support Us