- স | হ | জ | পা | ঠ
- ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২
গুলমার্গে পৃথিবীর বৃহত্তম ইগলু ক্যাফেটেরিয়া ‘স্নোগলু’ ।

কাশ্মীরের গুলমার্গের অত্যন্ত জনপ্রিয় স্কি রিসোর্ট ইগলু ক্যাফে বানিয়েছে। ক্যাফেটি ৩৭.৫ ফুট লম্বা এবং ৪৪.৫ ফুট আয়তনে। জম্মু ও কাশ্মীরের গুলমার্গে খুলে গেল পৃথিবীর বৃহত্তম ইগলু ক্যাফেটেরিয়া ‘স্নোগলু’ । কাশ্মীর এখন বরফে ঢাকা। প্রতিদিনই পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন। নতুন এই ক্যাফে পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা।
স্কি রিসোর্ট এই ক্যাফে বানিয়েছে। ক্যাফেটি ৩৭.৫ ফুট লম্বা এবং ৪৪.৫ ফুট আয়তনে। ২৫ জন কর্মী দিন-রাত কাজ করে ক্যাফে বানিয়েছেন ৬৪ দিনের মধ্যে। ক্যাফের দেওয়ালের গভীরতা ৫ ফুট। ইগলু ক্যাফের মালিক হোটেলিয়ার সৈয়দ ওয়াসিম শাহ বলেছেন, সুইজারল্যান্ডে অনেক বছর আগে এই ধরনের ক্যাফে দেখেছিলাম তখন থেকেই চিন্তা-ভাবনা করেছি কাশ্মীরেও প্রতি বছর প্রচুর বরফ পড়ে, সেক্ষেত্রে এমন কিছু একটা করা যেতেই পারে। গতবছরেই শেষ ক্যাফের কাজ। এতদিন পর্যন্ত সর্ববৃহৎ ইগলু ক্যাফে ছিল সুইজারল্যান্ডে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নামও ছিল। কিন্তু, আমাদের বানানো ইগলু ক্যাফে সেই ক্যাফের তুলনায় আয়তনে আরও খানিকটা বড়। ফলে এটিই বর্তমানে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইগলু ক্যাফে।
ক্যাফেতে প্রথমে ৪টি টেবিল ছিল। সর্বাধিক ১৬ জন বসে খেতে পারতেন। বর্তমানে ১০ টেবিলে ৪০ জন একসঙ্গে বসে খেতে পারছেন। ক্যাফে খোলার পর থেকে মানুষের মধ্যে উন্মাদনার শেষ নেই। স্থানীয়দের পাশাপাশি ক্যাফেতে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরাও। উদ্বোধনের দিনেই বুক হয়ে গিয়েছিল সমস্ত টেবিল।
ক্যাফে কর্তৃপক্ষের আশা, খুব তাড়াতাড়ি তাদের নাম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে-এ স্থান পাবে। ক্যাফে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইগলু ক্যাফেতে যারা খেতে আসবেন, তাঁরা ১ ঘণ্টা সময় কাটাতে পারবেন ভিতরে। খুব বেশি হলে আরও কিছুক্ষণ যতক্ষণ না তাঁদের ঠান্ডা লাগছে। তারপরে সহ্যের সীমা ছাড়াবে ঠান্ডা। তাই আর চাইলেও বসতে পারবেন না সম্ভবত।
❤ Support Us