- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ারিংকে বিদায় মারাইস এরাসমাসের
গতবছর একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের বিরুদ্ধে টাইমড আউটের আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটের নিয়ম মেনে আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন মারাইস এরাসমাস। বিশ্ব ক্রিকেটে প্রথম টাইমড আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়া আম্পায়ারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের সামনে দেখা যাবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ারিংকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এরাসমাস। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করবেন।
৬০ বছর বয়স পূর্ণ করছেন এরাসমাস। এপ্রিলেই তাঁর সঙ্গে আইসিসি–র চুক্তি শেষ হচ্ছে। মেয়াদ শেষ হলে আর আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করবেন না। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন এরাসমাস। এটাই তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এদিন মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, ‘গত বছর অক্টোবরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি সরে যাওয়ার। আইসিসি–কে জানিয়েও দিয়েছি, চুক্তি শেষ হলে আর আম্পায়ারিং করব না।’
এরাসমাসের আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের অভিষেক হয় ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকা টি২০ ম্যাচে প্রথম দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিং জীবনে ১২৫টি টেস্ট, ১৯২টি একদিনের ম্যাচ ও ৬১টি টি২০ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। মহিলাদের ক্রিকেটে সব সংস্করণ মিলিয়ে ৭৯টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। ২০১০ সালে আইসিসি–র এলিট প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত হন এরাসমাস।
দু’দুটি বিশ্বকাপ ফাইনালে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মেলবোর্নে ২০১৫ ফাইনালে ছিলেন টিভি আম্পায়ার ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে ছিলেন অন ফিল্ড আম্পায়ার। এছাড়া ২০১৭ সালে ভারত–পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের আমা্পায়ার ছিলেন। ২০১৬, ২০১৭ ও ২০২১ সালে তিনবার আইসিসি–র বর্ষসেরা আম্পায়ারের স্বীকৃতিও পেয়েছেন মারাইস এরাসমাস। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আম্পায়ারিং ছেড়ে দিলেও কিছুদিন বিরতির পর ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
❤ Support Us