Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুলাই ৩, ২০২৩

আনাজপাতির দাম বৃদ্ধি রুখতে ময়দানে টাস্ক ফোর্স।দাম বাড়ার জন্য কেন্দ্রই দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আনাজপাতির দাম বৃদ্ধি রুখতে ময়দানে টাস্ক ফোর্স।দাম বাড়ার জন্য কেন্দ্রই দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী

যত দিন যাচ্ছে লাফিয়ে বাড়ছে শাক-সব্‌জির দাম। লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাজার করতে গিয়ে সাধারণ মানুষও কপাল চাপড়াচ্ছেন। এমতাবস্থায় আনাজ-পাতির ঊর্ধ্বমুখী দাম আটকাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করল নবান্ন। কালোবাজারি রুখতে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাল সরকারের টাস্ক ফোর্স।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে হঠাৎ সবজি বাজারে অগ্নিমূল্য নিয়ে কদিন আগেই সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা তারপরে, শনিবারই বাজারে টাস্ক ফোর্স পাঠানোর ব্যাপারের সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন। সেই মতো তারা কাজ শুরু করল সোমবার । প্রথমেই তাদের একটি দল সল্ট লেকের যান। সেখানে এবিএসই মার্কেটে যৌথভাবে হানা দেয় টাস্ক ফোর্স ও বিধাননগর পুলিশের একটি দল। বিক্রেতাদের কাছে তারা সবজির কেনা দাম এবং বিক্রির দামের মধ্যে এতটা ফারাক কেন সে ব্যাপারে জানতে চান। স্পষ্ট করে কিছু তাঁরা বলতে পারেননি। তবে, অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ও কম বৃষ্টির কারণে এবারে ফলন কম হয়েছে । তাই সে কারণেই যোগান কম ।

টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা শুধু সল্টলেক নয়, শিয়ালদহ কোলে মার্কেট , বিডি মার্কেট সহ বেশ কয়েকটি বাজারে পরিদর্শনে যান। সব জায়গায় গিয়ে ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে তাঁরা বলেন, বেশি লাভ করার জন্য অতিরিক্ত দামে যেন তারা সবজি বিক্রি না করেন। মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জমায়েতের আয়োজন করা হয়েছে যদুবাবুর বাজারের সামনে। যেখানে লাগাম ছাড়া দাম বাড়া নিয়ে বক্তব্য রাখলেন এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।

আনাজ পাতির দাম  বাড়া নিয়ে কেন্দ্রর ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, জিনিসের দাম বাড়ছে সারা ভারতে। তাতে নজর নেই বিজেপির। মহারাষ্ট্রে টমেটোর দাম হয়েছে  এখন প্রায় ১৩০ টাকা, কর্নাটকে ১৪০ , দিল্লিতে ১৫০। এই অবস্থায় বেগুন, ঢ্যাঁড়সের দাম বাড়ছে।  চাষিভাইদের কাছ থেকে আমরা জিনিস কিনে আনি। অনেক   গ্রামে মানুষ আজকে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করছেন । সাতদিন বাদে যখন রেজাল্ট বেরিয়ে যাবে, তাঁরা আরও বেশি করে শস্য ফলাতে পারবে। আমাদের সুফল বাংলা আছে চালু করেছি। সাড়ে ৪৫০ উপর সুফল বাংলা বাজারে বাজারে পাঠাচ্ছি। যেখানে আমরা ১০ টাকা করে দাম কমিয়ে দিয়েছি।

মুখ্যমন্ত্রীর কথা খানিকটা সত্য।  সরকারি উদ্যোগ শুধু টাস্কফোর্স গঠনেই অবশ্য সীমিত নেই।  মধ্যবিত্তের দুশ্চিন্তা কমাতে ‘সুফল বাংলা’-র স্টলে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মুখ্যসচিরব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে  শনিবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী  ঠিক করেন, টমেটো, কড়লা, পটল, বেগুন, ঢ্যাঁড়সের মতো আনাজ সুফল বাংলা বিপণিতে অন্তত ২০-২৫ শতাংশ কম দামে মিলবে। খুচরো বাজারে টমেটোর দাম কেজি প্রতি ৯৯ টাকা হলে সুফল বাংলায় তা মিলবে ৮৯ -তে। বাজারে কিলো প্রতি ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কড়লা।  সরকারি বিপণন কেন্দ্রে তাই পাওয়া যাবে  কেজি প্রতি ৬৫ টাকায়। বেগুন ৭০ টাকায়। পটল কেজি প্রতি ২৩ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪৫ টাকায়। রাজ্য সরকারের  আশা, আগামী দশ দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে আনাজপাতির বাজার।

দ্রব্যমূল্যের লাগামছাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে  ভিন রাজ্য থেকে আনাজপাতি আনা একটা সমাধান হতে পারত।  সেক্ষেত্রেও পরিবহন জনিত নানা সমস্যা রয়েছে। তাই সব মিলিয়ে গত ১০ দিন ধরে খুচরো ও পাইকারি বাজারে অনিয়ন্ত্রিতভাবে মূল্যবৃদ্ধি ঘটে চলেছে। যদি ও খাদ্যদ্রব্যের আকালের মধ্যেই বাংলাদেশে রেকর্ড সংখ্যাক লঙ্কা রপ্তানি করা হয়েছে। অথচ কলকাতায় তা বিক্রই হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজিতে । এর কোনো ব্যাখ্যা প্রশাসনের তরফে মেলেনি।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!