- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- মার্চ ২৮, ২০২৫
রাজ্য গেমসের উদ্বোধনে চূড়ান্ত অব্যবস্থা, ‘বুড়ো’ কর্তাদের কড়া বার্তা ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের

৭ এপ্রিল থেকে শুরু রাজ্য গেমস। মালদা, কলকাতা ও দূর্গাপুরে এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হল নবম রাজ্য গেমসের। উদ্বোধন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। হাজির ছিলেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সুজিত বসু। পাশাপাশি জাতীয় গেমসে পদকজয়ীদের সংবর্ধনাও দেওয়া হল। এদিন অনুষ্ঠানে ডাকাই হল না রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তেওয়ারিকে। অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেও গুরুত্ব দেওয়া হল না রাজ্য অলিম্পিক সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি স্বপন ব্যানার্জিকে। অনুষ্ঠান ঘিরে চূড়ান্ত অব্যবস্থা।
রাজ্য অলিম্পিক সংস্থার এদিনের অনুষ্ঠানে নানারকম অভিযোগ উঠে এল। সাধারনত যে কোনও অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। কিন্তু বিওএ কর্তারা অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রদীপ জ্বালাতেই ভুলে গেলেন। নাচ–গানের পর প্রদীপ জ্বালানো হল। ক্রীড়াবিদদের অনুষ্ঠানে চটূল হিন্দি গান। আর সেই গানের সঙ্গে বিওও–র দেওয়া টি–শার্ট গায়ে গ্যালারি ভরানোর জন্য নিয়ে আসা মেকি ক্রীড়াবিদদের উদ্দাম নৃত্য।
যাদের সংবর্ধনা পাওয়ার কথা, জাতীয় গেমসে সেই পদকজয়ীদের অধিকাংশি আসেননি। যখন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলছিল, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অধিকাংশ আসন ফাঁকা। দূর–দূরান্ত থেকে যারা এসেছিলেন, তাঁদের চরম অব্যবস্থার মুখে পড়তে হল। সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। আর আয়োজকরা খাবার তুলে দিলেন বিকেল ৫টার পর। দেরিতে খাবার দেওয়া নিয়ে হাস্যকর যুক্তি রাজ্য অলিম্পিক সংস্থার প্রেসিডেন্ট চন্দন রায় চৌধুরির। তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানের শেষে প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। আগে দিলে তো সবাই চলে যেত।’ এই রকম অপদার্থ কর্তারাই দিনের পর দিন বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ পদ দখল করে বসে থাকেন।
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অবশ্য এদিনের অনুষ্ঠানে তথাকথিত বুড়ো কর্তাদের রীতিমতো ঠুঁকে দিয়েছেন। পাশাপাশি সংস্থার শীর্ষ পদ থেকে সরে যাওয়ার কড়া বার্তাও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় গেমসে পদক তালিকায় আমরা ১৮ নম্বর থেকে ৮ নম্বরে উঠে এসে, এটা ভাল কথা। কিন্তু বিওএ–র ২৪টি সংস্থা পদক পায়নি। এমনটা চলতে পারে না। সরকার প্রত্যেকটা খেলার জন্য অফিসার রেখেছে। তাঁরা ২৪ ঘণ্টা সজাগ থাকেন। তারপরেও কেন পদক আসবে না? ভাবতে হবে। শুধু মিস্টি খাব, আর তেতো খাব না, এটা চলতে পারে না। যারা ২০–২৫ বছর ধরে পদ দখল করে বসে আছেন, তাঁদের এবার ভাবতে হবে।’
অরূপ বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আমাদের ৩৮টি সংস্থা, আর ৬টি সহযোগী সংস্থা। আমি যদি এই ৬টা সহযোগী সংস্থাকে বাদ দিই তাহলে এই ৩৮টি সংস্থার মধ্যে ১৪টি সংস্থার ক্রীড়াবিদরা পদক পেয়েছে। বাকিরা ০। এটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। বিওএ কর্তাদের বলব এই ২৪টি সংস্থাকে নিয়ে আলোচনায় বসুন কেন তারা একটা পদকও আনতে পারল না। আলোচনা করুন। ভালো হলে যেমন পুরস্কৃত করা হবে তেমনই ব্যর্থ হলে জবাবও দিতে হবে। সরকার সব খেলাধুলাকে সব রকম সহযোগিতা করে। আমাদের ফলাফল দরকার।’
❤ Support Us