শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
টিডিপি শাসিত অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের আমলে স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় সেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে গ্রেফতার করেছে অন্ধ্রপ্রদেশের গোয়েন্দা দফতর বা সিআইডি৷ এই গ্রেফতারির ঘটনার পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে ফের একবার আলোড়ন তৈরি হয়েছে ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল থেকে আজ সকাল ৬টার সময় তেলেগু দেশম পার্টির প্রধানকে স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি মামলার কিংপিন হিসেবে গ্রেফতার করা হয় ৷ কিন্তু, ঠিক কী অভিযোগ ? আর কী বা এই স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি ?
অন্ধ্র প্রদেশের সিআইডি প্রধান এন সঞ্জয় জানিয়েছেন, শনিবার সকালে তেলেগু দেশম পার্টির জাতীয় সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয় কারণ তিনি এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত এবং তাঁর মাধ্যমে তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
২০১৫ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের চুক্তিতে সই করেন ৷ যেখানে যুবসমাজকে স্কিল ডেভেলপমেন্টের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল ৷ সিমেন্স নামক একটি সংস্থার মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে অন্ধ্র সরকার ৷ এই সংস্থাটির নাম জার্মানির বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলত ৷ এই প্রকল্প অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্কিল ডেভলপমেন্টের প্রশিক্ষণের জন্য যে খরচ শিক্ষার্থীদের করতে হবে, তার ১০ শতাংশ রাজ্য সরকার দেবে বলে ঠিক হয় ৷
কিন্তু, অভিযোগ ওঠে এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের ২৪০ কোটি টাকা অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ এমনকি জাল রসিদ ও চালানের মাধ্যমে জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ৷ এই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টির তদন্ত ভার যায় অন্ধ্র প্রদেশের সিআইডি-র হাতে ৷ অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান কন্দুরু অজয় রেড্ডি অভিযোগ করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রকল্পে একাধিক অনিয়ম হয়েছে ৷
টিডিপি সরকারের আমলে অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয় ৷ এর পরেই ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরকার ২০২১ সালে এই মামলায় সিআইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেয় ৷ এই মামলায় সিআইডি-র তদন্ত রিপোর্টের উপর নির্ভর করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে ৷ তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ৷ সেই তালিকায় নাম ছিল অন্ধ্রের স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গন্টা সুব্বারাও এবং ডিরেক্টর কে লক্ষ্মীনারায়ণের ৷
সেই সময় তদন্তের অংশ হিসাবে, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার লক্ষ্মীনারায়ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা ৷ কে লক্ষ্মীনারায়ণ এর আগে চন্দ্রবাবু নায়ডুর ওএসডি হিসাবে কাজ করেছিলেন ৷ এমনকি অবসরের পর অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেন এই আইএএস ৷ তিনিই অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের প্রথম ডিরেক্টর ছিলেন।
এই আইএএস -এর বাড়িতেও সিআইডি তল্লাশি চালিয়েছিল ৷ অভিযোগ ছিল, স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অন্তর্গত একটি ট্রেনিং সেন্টারের আড়ালে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে সেই তল্লাশি চালায় অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা দফতর ৷ সিআইডি-র তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, সিমেন্সের এমডি সৌম্যদ্রি শেখর বোস এবং ডিজাইন টেকনলজির এমডি বিকাশ খানভিলকরের নামে ২৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল চন্দ্রবাবু নাইডুর সরকার ৷ কিন্তু, সেই টাকা ৭টি ছোট ছোট বেনামি সংস্থার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় ৷
এমনকি সরকার ও ওই সংস্থার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হওয়া চুক্তির লেনদেনেও বিস্তর গলদ ধরা পড়ে বলে অভিযোগ ৷ সব মিলিয়ে ৩৭১ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ৷ এই মামলায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর সরাসরি যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ আর সেই সূত্রে, আজ সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ছেলেকেও আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34