Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জানুয়ারি ২৯, ২০২৪

দুই বিচারপতির দ্বৈরথের জেরে মেডিক্যাল মামলা হাই কোর্ট থেকে সরল সুপ্রিম কোর্টে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দুই বিচারপতির দ্বৈরথের জেরে মেডিক্যাল মামলা হাই কোর্ট থেকে সরল সুপ্রিম কোর্টে

কলকাতা হাই কোর্টের দুই বিচারপতির নজিরবিহীন দ্বৈরথের জেরে মেডিক্যালে ভর্তি দুর্নীতি মামলা কলকাতা হাই কোর্ট থেকে সরল সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ৩ সপ্তাহ পর শীর্ষ আদালতে মামলার পরবর্তী শুনানি। ইতিমধ্যে মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

এদিন রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতে জানানো হয়, মেডিক্যালে ভর্তির ১৪টি ভুয়ো শংসাপত্র পাওয়া গিয়েছে। দায়ের করা হয়েছে মোট চারটি এফআইআর। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানির বিরুদ্ধে সওয়াল করা হয়। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে মামলা না সরালে আবার একই ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। নাম না করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করেন সিব্বল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি পদযাত্রায় হেঁটেছেন।’’

এদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এদিন শীর্ষ আদালতে বলেন, “অতীতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে একটি মামলা সরিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তা সত্ত্বেও অবাঞ্ছিত মন্তব্য করেই চলেছেন তিনি।” তবে সবপক্ষের মন্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চ নিয়ে যা হচ্ছে তা ঠিক নয়। আমরা সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। এমন কিছু করা হবে না যাতে কলকাতা হাই কোর্টের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। কোন বেঞ্চে কোন মামলা যাবে, তা ঠিক করবেন হাই কোর্টের প্রধান বিচাপতি।”

এর আগে সংরক্ষিত আসনে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অসংরক্ষিত পড়ুয়া ভর্তির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন এক ছাত্রী। এই মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়। ২৪ জানুয়ারি এই মামলার শুনানিতে সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কোনও নথি ছাড়াই মৌখিক কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।

ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের মৌখিক আবেদনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। সে কথা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে জানান রাজ্যের আইনজীবী। বিচারপতি মামলার লাইভ স্ট্রিমিং অথবা স্থগিতাদেশের কপি দেখাতে বলেন। লিখিত স্থগিতাদেশের কপি দেখাতে পারেননি রাজ্যের আইনজীবী। কোনও মামলার কপি দেখাতে না পারলে কি তা গ্রহণযোগ্য, পালটা প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরই সিবিআইকে বিচারপতি সমস্ত নথি নিয়ে তৎক্ষণাৎ এফআইআর করার নির্দেশ দেন।
এর পরই কলকাতা হাই কোর্ট থেকে মামলা শীর্ষ আদালতে চলে যায়।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!