Advertisement
  • এই মুহূর্তে ন | গ | র | কা | হ | ন
  • সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩

আচার্যের বিরুদ্ধে পথে নামল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ডাক

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আচার্যের বিরুদ্ধে পথে নামল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ,  ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ডাক

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে গেছে।  এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের একাধিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এবার পথে নামতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন বা টিএমসিপি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে জানিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে , ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ সোমবার থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির পালন করবে তারা। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি করার কারণ, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানো, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সচল রাখা এবং ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ রক্ষা করা।

ছাত্র পরিষদ তরফে জানানো হয়েছে, এই বিক্ষোভ কর্মসূচি রাজ্যের মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে। সোমবার যেমন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পরিষদের কর্মসূচি রয়েছে। একই ভাবে মঙ্গলবার কর্মসূচি রয়েছে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচি রয়েছে বুধবার। বিশ্বভারতী, আলিয়া এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাদের এই কর্মসূচির পোস্টারে লেখা হয়েছে— ‘‘রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচাতে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সচল রাখতে এবং ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ রক্ষা করার লক্ষ্যে অবস্থান বিক্ষোভ।’’

উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত বেশ কিছু দিন ধরেই চলছে। সম্প্রতি এই সংঘাতের মাত্রা অনেকটাই   বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে একের পর এক অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসানো হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে। তাঁকেই আবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল।  মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে উপাচার্য করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরে আবার শুভ্রকমলকে রবীন্দ্রভারতীর সঙ্গে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে, গত মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তিনি হুঁশিয়ারির সুরেই জানিয়েছিলেন, কোনও বিশ্ববিদ্যালয় রাজভবনের কথা মতো চললে অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ করে দেবে রাজ্য। সেই হুঁশিয়ারিতেও অবশ্য তেমন লাভ হয়নি। সে দিন রাতেই কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে অধ্যাপক কাজল দে-কে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। সে ক্ষেত্রেও রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করেননি বলে অভিযোগ।

রাজ্যের মন্ত্রিসভা এবং শিক্ষামন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের এ হেন আচরণ নিয়ে আক্রমণাত্মক হয়েছেন। এর মধ্যে সবচয়ে বেশি আক্রমণাত্মক হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি একের পর এক উপমা দিয়ে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার ব্রাত্য বসু রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে তলব করেছিলেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর ডাক ১৭ জন রেজিস্ট্রার সরাসরি উপেক্ষা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অনুপস্থিত ওই ১৭ জন রেজিস্ট্রারকে শুক্রবার শোকজের হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে অবশ্য তিনি জানান, অনুপস্থিতির কারণ তিনি জানেন। রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘তা হলে হুমকির বাতাবরণ তৈরি করছে কে? হাড় হিম করার ঠান্ডা সন্ত্রাস তৈরি করছে কে? কে তবে ভয় দেখাচ্ছে? রাজার বাড়ি না বিকাশ ভবন?’’

এর পরেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানান, শনিবার মধ্যরাতে তিনি কিছু একটা পদক্ষেপ করবেন। পরে রাত ১২টা বাজার সামান্য আগে অর্থাৎ শনিবার, রাত ১১টা ৪২ মিনিট রাজভবন থেকে জানা গেল, রাজ্যপাল বোস রাতে দু’টি খামবন্দি গোপন চিঠিতে সই করেছেন। একটি নবান্নে, অন্যটি দিল্লির উদ্দেশে পাঠান হয়েছে। যদিও চিঠিতে বিষয়বস্তু জানা যায়নি । রাজভবন বা রাজ্য কেউ এই চিঠি নিয়ে মুখ খোলেনি। সেই চিঠির বিষয় শিক্ষা, না কি অন্য প্রশাসনিক কিছু না কি তাঁর নিজের ইস্তফা, তা নিয়ে শনিবার রাত থেকে প্রশাসনিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এই আবহেই এবার  রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পথে নামল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।


  • Tags:

Read by:

❤ Support Us
Advertisement
homepage block publication
Advertisement
homepage vertical advertisement mainul hassan publication
Advertisement
Advertisement
শিবভোলার দেশ শিবখোলা স | ফ | র | না | মা

শিবভোলার দেশ শিবখোলা

শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া স | ফ | র | না | মা

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া

সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।

মিরিক,পাইনের লিরিকাল সুমেন্দু সফরনামা
error: Content is protected !!