- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ৮, ২০২৫
নাগরাকাটায় বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ২
গত সোমবার নাগরাকাটায় ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ আক্রান্ত হন। হামলার প্রায় ৫১ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ি পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও বাকি ৬ জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন নাগরাকাটা থেকে এবং অপরজন জয়গাঁও থেকে আটক হয়েছেন। তাঁদের বর্তমানে জেলা সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও ধৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। একই সঙ্গে তাঁদের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কিনা তাও জানা যায়নি। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে জেলা পুলিশ, সিআইডি এবং অন্যান্য সংস্থার তল্লাশি জোরদার করেছে।
হামলার সময় ভাঙচুর হয় শঙ্কর ঘোষের গাড়িও। স্থানীয়দের হাতে পাথর ছোড়া হয়, লাঠি-জুতোর আঘাতে মুখে এবং হাতে গুরুতর জখম হন বিধায়ক-সাংসদরা। খগেন মুর্মুর চোখের নিচের হাড় ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও হাত এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান। বিজেপি অভিযোগ, ‘পুলিশের নিস্ক্রিয়তা আর তৃণমূলের সন্ত্রাস এ ঘটনার জন্য দায়ী। ৫১ ঘণ্টা সময় নিয়ে গ্রেফতার করা হলো মাত্র ২ জনকে। চাপের মুখেই পুলিশ বাধ্য হয়ে গ্রেফতার দেখিয়েছে।’ রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এ ঘটনায় তদন্তের জন্য এনআইএ-এর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুকান্ত মজুমদারও হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যারা হামলা চালিয়েছে, তারা নিজেদের ‘দিদির সৈনিক’ বলে পরিচয় দিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপিই নিজেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করবে।’
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ঘটনাটি বিজেপি অধ্যুষিত এলাকায় ঘটেছে। এমপি, বিধায়ক সব বিজেপি দলেরই। তাহলে দায় কার?’ পাশাপাশি তিনি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকলেও সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ হামলার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাসপাতালে খগেন মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে কিছুটা শীতলতা আসার ইঙ্গিত মেলে। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের নজর এখন ধৃতদের অন্যদের হাতেও পড়বে কিনা এবং তদন্তের স্বচ্ছতার দিকে। এই ঘটনার প্রতিফলন আগামী দিনের রাজনীতিতে কী রং লাগাবে, তা সময়ই বলবে। তবে বিধানসভা ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল।
❤ Support Us






