ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের হামলার পদ্ধতিতে বিরক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এবার ইজরায়েলের সমালোচনায় মুখর জাতিসঙ্ঘ। জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক মনে করছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইজরায়েল, যা যুদ্ধাপরাধ। একটা আইন আদালতের মাধ্যমে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গাজার ব্যাপক ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষেরও নিন্দা করেছেন ভলকার তুর্ক।
এক বিবৃতিতে ভলকার বলেছেন, ‘মানবিক সহায়তা এবং বাণিজ্যিক পণ্যের প্রবেশ ও বিতরণে ইজরায়েলের বিধিনিষেধ গাজায় ক্ষুধা, অনাহার এবং দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অধিকাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত। একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের মুখে। গাজায় ত্রাণ প্রবেশের ওপর ইজরায়েলের ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞার পরিধি বেড়ে চলেছে। ইজরায়েল অনাহারকে যুদ্ধের কৌশল হিসাবে ব্যবহার করছে। যা একটি যুদ্ধাপরাধ।’
ভলকারের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত একটি আইন দ্বারা নির্ধারিত হবে। গাজার জনগণের দুর্ভোগ মেনে নেওয়া যায় না।’ জাতিসঙ্ঘের মূল্যায়নে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড আসন্ন দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হওয়ার পর এই মন্তব্য সামনে এসেছে।
জাতিসঙ্ঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএর মুখপাত্র জেনস লায়েরকে বলেন, ‘গাজায় প্রতিদিন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে। প্রত্যেককে, বিশেষ করে প্রভাবশালী দেশগুলিতে অবশ্যই জোর দিতে হবে অনাহারের অবসান ঘটাতে এবং দুর্ভিক্ষের সমস্ত ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা এবং বাণিজ্যিক পণ্যের অবাধ প্রবেশ এবং বিতরণ নিশ্চিত করার দিকে।’ গতবছর ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর হামাসের হামলার পর থেকে বিধ্বংসী যুদ্ধের ফলে গাজার প্রায় ১.১ মিলিয়ন মানুষ বিপর্যয়কর অনাহারের সম্মুখীন হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের সমীক্ষায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সাহায্য না পেলে মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তরে ৩ লক্ষ মানুষকে আঘাত করবে।