Advertisement
  • দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের অভিযোগ, “আফগান নারী ও মেয়েদের ওপর নিপীড়নের মাত্রা অত্যন্ত নিষ্ঠুর”

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের অভিযোগ, “আফগান নারী ও মেয়েদের ওপর নিপীড়নের মাত্রা অত্যন্ত নিষ্ঠুর”

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মঙ্গলবার বলেছেন, তালেবানরা আফগানিস্তানের জনগণের স্বাধীনতার উপর একটি নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণ চালিয়েছে, যার মধ্যে নারী ও মেয়েরা অসীম নিষ্ঠুর নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন যে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার দুই বছরেরও বেশি সময় পর আফগানিস্তানে মানবাধিকার ভেঙে পড়েছে এবং সমস্ত স্তরে প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তিনি জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে শূন্যতা পূরণে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের এক বৈঠকে তুর্ক বলেন, “আফগান নারী ও মেয়েদের নিপীড়নের  মাত্রা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও নিষ্ঠুর।” তিনি আরও বলেন,  “আফগানিস্তান বিশ্বের একমাত্র দেশ হিসাবে ভয়াবহ নজির স্থাপন করেছে যেখানে নারী ও মেয়েরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।” তালেবানরা ১৫ আগস্ট, ২০২১-এ আফগানিস্তানে তাদের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে, কারণ মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী দুই দশকেরও বেশি যুদ্ধের পর সে দেশ থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করে। তারা প্রাথমিকভাবে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তাদের পূর্ববর্তী শাসনামলের তুলনায় আরও মধ্যপন্থী পদ্ধতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে তারা ইসলামী আইন বা শরিয়ার কঠোর আইনের ব্যাখ্যাই পুনর্বহাল করে। ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়া, অধিকাংশ চাকরি করতে না পারা এবং অনেক জনবহুল জায়গাশ মেয়েদের এবং মহিলাদের অংশগ্রহণ এবং উপস্থিত হওয়া নিষিদ্ধ হয়েছে। পাশাপাশি, হিজাব বা ইসলামিক হেড স্কার্ফ না পরার জন্য তালেবানরা মহিলাদেরকে হেনস্থা বা মারধর করেছে, তুর্কের কাছে উপস্থাপন করা অধিকার পরিষদের একটি প্রতিবেদন তাই বলছে। ওখানে এখন পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বাজার থেকে কেনাকাটা করার জন্য মহিলাদের বাড়ির বাইরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্দেশ দিওয়া হয়েছে।

মহিলা আইনজীবী এবং বিচারকদের কাজ করা বা আইন অনুশীলন করা থেকে বাদ দেওয়ায়, মহিলা এবং মেয়েদের আইনি বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব এবং ন্যায়বিচারের নাগাল পাওয়ার ক্ষমতা কমে গেছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তালেবানের এই হুকুম আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা সহ অন্য কর্মকর্তারা অন্যান্য দেশকে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বলেছেন। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে মন্তব্য করার জন্য তালেবানের কেউ তাৎক্ষণিকভাবে উপলব্ধ ছিল না।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!