- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- জুন ১, ২০২৪
ইরাকের থেকে রাজনৈতিক মিশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের

২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে সাদ্দাম হোসেন সরকারের পতন হয়েছিল। এরপর ইরাক পুনর্গঠনের জন্য রাজনৈতিক মিশন স্থাপন করেছিল জাতিসংঘ। ইরাক সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সে দেশে থাকা জাতিসংঘে রাজনৈতিক মিশন শেষ করার আহ্বান জানিয়েছিল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার সর্বসম্মতিক্রমে রাজনৈতিক মিশন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইরাকি সরকার ৪ মে জাতিসংঘকে মিশন শেষ করার আহ্বান জানায়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে মিশন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের পাঠানো নথিতে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি ধারাবাহিকভাবে ইরাক সরকারের ইতিবাচক উন্নয়ন এবং অর্জনের পাশাপাশি জাতিসংঘ মিশনের পূরণ করার কথা তুলে ধরেছেন । ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আল-সুদানি বলেন, “এ সময়ের মধ্যে মিশনটি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সংস্কার পরিষেবা ব্যবস্থা স্থায়ী উন্নয়ন জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য উন্নয়ন বিষয়গুলি উপর ফোকাস করবে।” জাতিসংঘের মহা-সচিব আন্তনীয় গুতেরেস ইরাকি সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিসমাপ্তি পরিকল্পনা তৈরি করবেন। যেখানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন তার কাজগুলি হস্তান্তর, কর্মী ও সম্পদ প্রত্যাহার করতে শুরু করবে।
২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী ইরাক এবং সিরিয়ার বিশাল অংশে খিলাফত ঘোষণা করেছিল এবং সারা বিশ্ব থেকে কয়েক হাজার সমর্থককে আকর্ষণ করেছিল। ২০১৭ সালে ইরাকে এবং ২০১৯ সালের সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের দ্বারা চরমপন্থীরা পরাজিত হয়। আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গঠিত সামরিক জোটকেও ভেঙে দিতে চাইছে ইরাক। প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সৈন্য এই মুহূর্তে সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বেশির ভাগই রয়েছে বাগদাদ এবং উত্তরের সামরিক ঘাঁটিতে। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আল-সুদানি দাবি করেছেন যে, ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী দেশের বাকি আইএস-দের মোকাবেলা করতে সক্ষম। জোটের উপস্থিতির আর প্রয়োজন নেই। আল-সুদানির কার্যালয় নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের জন্য তাঁর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
❤ Support Us