- এই মুহূর্তে দে । শ
- এপ্রিল ২০, ২০২৩
বিশ্বভারতীর প্রতিশোধ স্পৃহা অব্যাহত ! ১৫ দিনের মধ্যে ১৩ ডেসিমেল জমি ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ অমর্ত্য সেনকে
নীরব কেন বাংলার সমূহ বুদ্ধিজীবীরা ? কেন প্রকট হয়ে উঠছে তাঁদের সংশয়াচ্ছন্ন উদাসীনতা ?
বিতর্কিত ১৩ ডেসিমেল জমি ছাড়তে অমর্ত্য সেনকে আর ১৫ দিন সময় দিল বিশ্বভারতী। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, ৬ তারিখের মধ্যে প্রতীচি সংলগ্ন জায়গা খালি করা না হলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সামান্য জমি নিয়ে বিশ্ববরেণ্য দার্শনিক ও অর্থশাস্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিবাদে জড়িয়ে পড়া ও তা দিনের পর দিন চালিয়ে যাওয়া অনভিপ্রেত। অমর্ত্য এখন বিদেশে। সেখান থেকে ফেরা না পর্যন্ত জমি বিতর্কে বিশ্বভারতীর সঙ্গে তিনি সুষ্ঠু আলোচনায় দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন । উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও তাঁর অনুগামীরা নোবেলজয়ীকে হেনস্থার করবার কোনো কসুর বাকি রাখছেন না। মুখ্যমন্ত্রী কয়েক মাস আগে ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে জমির সমস্ত নথিপত্র তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। বীরভূমের বিএলআরও দপ্তর তাঁর নামে জমির দলিল নথিভুক্ত করেছে। এসমস্ত দাবি মানতে নারাজ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অর্থশাস্ত্রীকে নাজেহাল করতে তাঁরা খড়গহস্ত। প্রতীচি বাসভবনের গেটে উচ্ছেদ নোটিশ টানানো রবীন্দ্রনাথের আদর্শ ও ভাবাবেগকে কালিমালিপ্ত করবার সমতুল্য। পরিতাপের বিষয়, তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনো দল এর বিরুদ্ধে এখনও তাঁদের তীক্ষ্ণ প্রতিবাদ ব্যক্ত করেনি। কেন জানি, বাংলার বুদ্ধিদীপ্ত সমাজও তাঁদের আংশিক নীরবতা দিয়ে সংশয়াচ্ছন্ন উদাসীনতাকে ভারী করে তুলছে। উপাচার্য যা করছেন তা সুপরিকল্পিত এবং অনুশাসিত। তাঁর আচরণ কতটা ঔদ্ধত্যপূর্ণ তা তিনি বলতে পারেন। বাংলার মানুষ আর জাতির ভাবাবেগ উপাচার্যের রূঢ় পদক্ষেপকে মানতে রাজি নয়। যথাসময়ে অবশ্যই ক্ষুব্ধ জবাব ছড়িয়ে দেবে।
❤ Support Us