- দে । শ
- ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪
প্রবীণের দল মেতে উঠলেন গানে, গল্পে, খেলায়।
শনি, রবি এক সময় ছিল ওঁদের ছুটির দিন। এখন তো সপ্তাহের সব দিনই ছুটি। আলাদা করে ছুটি ওঁরা উপভোগ করেন না। তবে সংসারের কাজে, সমাজের কাজে ওঁদের অনেকেই প্রতিদিন ছুটে বেড়ান। এদিন সেরকমই ২০০ বেশি প্রবীন মানুষ মিলিত হয়েছিলেন তাঁদের সংগঠনের বার্ষিক মিলন মেলায়। ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি পেনশনার্স সমিতির মুখপত্র ‘প্রবীণ কন্ঠ’–র ৩০ বছর উদ্যাপনে বসিরহাটের নৈহাটিতে প্রবীণের দল পরিবার–পরিজন নিয়ে খেলে, গল্প করে, গান গেয়ে, আড্ডায়, আলোচনায় সারাদিন কাটালেন। নিজেদের দাবি দাওয়া তো আছেই। তবে প্রবীণের দল ডিসেম্বর মাসে এভাবেই সংগঠনের সদস্য ও তাদের পরিবার নিয়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছেন। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিনয়েন্দ্র নাগ বলেন, আমরা বুড়োরা কী করি, কাদের সঙ্গে মেলামেশা করি, সমাজের আমাদের কী কর্তব্য এসব নিয়ে বাড়ির লোকের ধারণা সবার সমান নয়। সেজন্য আজকের এই অনুষ্ঠানে আমরা অনেকেই স্ত্রী, কন্যা, পুত্র, পুত্রবধূ, এমনকী কেউ নাতি নাতনিদের সঙ্গে এনেছি।’ এদিন সকাল থেকে শিশুদের জন্য বসে আঁকো, আবৃত্তি , সঙ্গীত প্রতিযোগিতা যেমন ছিল, তেমনি মহিলাদের মিউজিকাল চেয়ার, এবং প্রবীনদের জন্য বাক্সে বল ফেলার মত খেলা ছিল। তাতে অংশ নেন প্রবীণের দল। দুপুরে সবার জন্য ভুরিভোজের আয়োজনেও ছিল স্বাস্থ্য সম্মত খাবার। হাটুর ব্যথা, ব্লাড সুগার, কোলেস্টরেল, থাইরয়েডের উৎপাত ভুলে সকলেই মাতলেন শিশুর মত। কে যেন তখন গলা ছেড়ে গাইছেন ‘খেলিছ বিরাট শিশু.. ..’ । তাতে প্রবীণেরা কন্ঠ মিলিয়েছেন ।
❤ Support Us