Advertisement
  • খাস-কলম
  • জানুয়ারি ১৫, ২০২২

শীতের কেচ্ছা, ঈশান বাংলার  কাহিনি

সঞ্জীব দেবলস্কর
শীতের কেচ্ছা, ঈশান বাংলার  কাহিনি

চিত্র : দেব সরকার ।

সারারাত টুপটাপ শিশিরের শব্দ, দূরে শিমূল বা জারুলের ডালে বসে প্যাঁচার ডাক, আরও দূর কোন বিল হাওরের ওপার থেকে থেকে ভেসে আসা কীর্তনের সুর, প্রহরে প্রহরে শেয়ালের ডাক, সারাদিন রোদে তাতানো কাঁথার ভেতর উষ্ণতা– শীত আমাদের এই একটুকরো রূপসী বাংলায় আজও গভীর রহস্যময়। এ ঋতু সততই বাঙময়, সততই চিত্রকল্পময়, অপার ঐশ্বর্যময়।

কার্তিকের মিঠে রোদ, অঘ্রানের নির্জন শিশিরপাত আর পৌষের ভরন্ত সর্ষে ক্ষেতের  সস্নেহ হাতছানি। শত শত সাম্রাজ্যের ধ্বংশের পরও এই আবহমান শীতের চালচিত্র অপরিবর্তিত রয়েছে আমাদের নির্বাসিতা বাংলার বুকেও।

পৌষ সন্ধ্যায় নির্জন খড়ের মাঠে যারা হেঁটেছেন, যারা প্রত্যক্ষ করেছেন হিম আকাশের গায়ে মিটিমিটি কয়েকটি তারা, মেঠেচাঁদ, লক্ষ্মীপ্যাঁচা আর মাঠের ফাটলে ইঁদুরের আনাগোনা–এরা পৃথিবীর বুকে আজও নিঃশেষ হয়ে যাননি। এত অবহেলা, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা সহ্য করেও আজও কাস্তে হাতে ভোর হতে না হতে চাষীরা ফসল কাটতে নেমে যান (যদিও বস্তা হাতে পাওনাদাররা চাতলে হাজির হয়ে যাবেন যথা সময়ে); ওদের বুকের ভেতর আজও মাঠের বাঁশি তোলে প্রাণের অনুরণন। ইট ভাটি, স্টোন ক্রাসার আর নগরায়নের আগ্রাসন এড়িয়েও এই ক’টি দিনের সুখের জন্য বর্ষায় জলকাদা গায়ে মেখে এরা ফসল ফলান। এরকম কঠিন পরিশ্রমের ফলেই শীতের মরসুমে গ্রাম বস্তিতে লেগে যায় উৎসবের আমেজ।

গৃহস্থের উঠোনে জমে ওঠে ধানের মুঠি, কুয়াশার শাসন আর রোদের আদর খেয়ে মাড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হয় কেটে আনা ধানগাছগুলো। গরু-মহিষের জন্য থাকে ভিন্নতর কাজ—উঠোনে জড় করা ছড়াসুদ্ধ ধানের গাছের উপর অবিরাম ঘোরপাক খাওয়া। এদের পায়ের চাপে ধানগুলোর ঝরে যেতে থাকে। বিকেল থেকে গভীর রাত অবধি এই মাড়াই পর্ব। ক্রমাগত ঘোরপাক খাওয়া প্রাণীদের মুখে সেঁটে দেওয়া হয় মসৃণ বেতের ‘ফোপা’ যাতে  বে-পরিমাণ ধান খেয়ে নিজের বিপর্যয় ডেকে না আনে । রশি হাতে এদের পেছনে পেছনে চলবে একজন মানুষ, হাতে তার পাজইন (পাচনবাড়ি), মুখে তার বুলি–হেট হেট, হর হর হর, ছা ছা, থি থি থি । বেয়াড়া প্রাণীর জন্য মুখে আছে যুৎসইভর্ৎসনা বাক্য, কয়েক প্রস্ত খিস্তি (মাঝে মাঝে এতে  শালীনতার সীমা লঙ্ঘিতও হয়)। সঙ্গে থাকে সহযোগী, হাতে তার বক্রশীর্ষ বংশদন্ড, নামটি বিলক্ষণ মনে না রাখার মতোই, ‘উকইত’। ধানের খড়গুলো নাড়িয়ে চাড়িয়ে উলটে দিতে এর প্রয়োজন।


সবই কৃষকই  এক একজন কথা-সাহিত্যিক । এদের এক একটা গল্পশেষ হতে  লাগে  তিন থেকে চার দিন। গল্প চলাকালীন উঠে যাওয়ার ক্ষমতা থাকে না শ্রোতাদের, এতই সরস কথনভঙ্গি। এর কাছে হ্যারি পটার, ছাপা বইয়ের রহস্য রোমাঞ্চ, রূপকথা!


রাতভর ধান মাড়াইয় আয়োজনের সঙ্গে রয়েছে প্রচুর আনন্দের উপাদান। স্কুলপড়ুয়া ছেলেদের আপাতত পড়াশোনার ব্যস্ততা নেই। গুটি গুটি পায়ে এরা মাড়াই উৎসবে সামিল হয়। উঠোনের এক কোণে খড়ের আগুন জ্বালিয়ে বসে গল্পের আসর। ভূতপেত্নি, দৈত্যি দানব, চোর ডাকাত, বাঘ ভালুকের গল্প নিয়ে এ চাতলে ভিন্নতর উৎসব। গল্পের আসরে কথক সবই কৃষক, পুথিগত বিদ্যা এদের  আওতার বাইরে কিন্তু এরা সবাই এক একজন কথা-সাহিত্যিক । এদের এক একটা গল্পশেষ হতে  লাগে  তিন থেকে চার দিন। গল্প চলাকালীন উঠে যাওয়ার ক্ষমতা থাকে না শ্রোতাদের, এতই সরস কথনভঙ্গি। এর কাছে হ্যারি পটার, ছাপা বইয়ের রহস্য রোমাঞ্চ, রূপকথা!

এসব গল্পে অবশ্য ভূত প্রেতের প্রাধান্য। ভূতেরা শুধু গল্পের বিষয় হিসেবে নয়, ছদ্মবেশ ধারণ করে ছেঁড়া কাঁথা গায়ে জড়িয়ে আসরে ও বসে পড়ে । উদ্দেশ্য সবার জানা— দুর্বল চিত্তের  উপর ভর করা। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, হঠাৎ কারও হাবভাবে পরিবর্তন এসে গেছে, কথাবার্তায় চন্দ্রবিন্দুর আধিক্য। শীতবুড়ি জাঁকিয়ে এলে এনারাও উষ্ণতার খোঁজে চাতলের পাশে নেমে আসে। এদের হাতিয়ার  শতচ্ছিন্ন গায়ের কাঁথা, নাম ‘শয়তানের  কাঁথা’। যদি কাউকে এ কাঁথার হাওয়া লাগিয়ে বশীভূত করে নিতে পারে তবে তো…। থাক্‌, ভয় দেখানো ঠিক না। তবে এটা বলতে হবে, একবার নাকি কে একজন এরকম একটি কাঁথা শয়তানের গা থেকে টেনে নিয়ে আগুনে নিক্ষেপ করেছিল।  কাঁথা হারিয়ে ব্যাচারি ভূত শীতে কাঁপতে কাঁপতে সবার চোখের সামনে অক্কা পেয়েছিলেন।

এ সবই আমাদের শীতের সঞ্চয়।

খড়ের গাদার উপর হালকা চাদর বিছিয়ে রাতের ঘুমের মজাই আলাদা। নিচের ওম আর সঙ্গে কাঁচা খড়ের ঘ্রাণ, আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে!   এরকম সন্ধ্যায় বাঁশের চুঙির ভেতর বিরন চাল ঢুকিয়ে খড়ের আগুনে পোড়ানো চুঙাপিঠার স্বাদ নিতে কোন বাধা নেই।

দিনের বেলা ধানের ক্ষেতে, চাতলের আশপাশে  শুরু হয় কিশোরী মেয়েদের মাথায় টুকরি নিয়ে বিচরণ। এদের কাজ কৃষকের মুঠো থেকে ঝরে পড়া, কাস্তের ধার এড়িয়ে রয়ে যাওয়া ধানের ছড়া, নাম হিজা কুড়িয়ে জমা করা। কারও নিষেধ নেই, যত পারো কুড়িয়ে নাও, মাঠের ইঁদুরের জন্য কয়েকটি ছড়া রেখে যেতে পারো ইচ্ছে হলে। লক্ষ্মী যখন এসেছেনই অঘ্রানে, ভাতের স্বাদ থেকে কেউ যাতে বঞ্চিত না হয়, তাই এ প্রথা। এখন চারিদিকে হরিনারায়ণ, কালিজিরা, বাদসাভোগ, কালি মেউকরি, বালাম, ছইতে মরার ধানের সমারোহ। সৌখিন গৃহস্থের উঠোনে জমে উঠবে গন্ধি বিরণ, ভেড়া পাওয়া, গোবিন্দ ভোগ, গোপাল ভোগের স্তুপ। বিচিত্র ধানের গন্ধের মাদকতায় ঘর গেরস্তি ভরে উঠছে। এত অভাব, অশান্তি হানাহানির মাঝেও এ ক’টা দিন যদি কৃষকের বুকে একটু উষ্ণতার ছোঁয়া লাগে, মন্দ কী?

আগে ক্ষেত থেকে ধান বয়ে আনা হত হুজাকাঁধে নিয়ে দুলকি তালের ছন্দে, সবাই তাকিয়ে দেখত। হুজা হল দুইদিক চোখা মসৃণ বাঁশের দন্ড, যার দুই দিকে ধানের মুঠি গেঁথে কাঁধে তোলা হয়। ধান বয়ে আনার আরেকটি জিনিস ছিল– চাকাবিহীন মহিষ টানা গাড়ি, নাম ‘হল্লা’। মসৃণ দুটো বাঁশে দণ্ডের উপর ব্যালেন্সড হয়ে যেত পুরো বোঝাটা। এটা টানতে খুব কষ্টও হত না মহিষের। ছেলে ছোকরারা আবার এরই মধ্যে পিছনে উঠে গাড়ি চড়ার সখ মিটিয়ে নিত। অবশ্য  হল্লা চড়ার মজা আজকালকার ছেলে ছোকরা পায় না !

শীতের আরেকটি আনন্দের ক্ষেত্র রবিশস্যের  মাঠ। আশ্বিনের শেষ থেকে  সাজ সাজ রব। চোখের সামনে মাঠগুলো আলু ফুলকপি, বাঁধা কপি, ওল কপি, ফরাস বিন, লাইপাতা, মূলা আর বিচিত্র শাকসবজিতে ভরে ওঠে। ধনে পাতার, এদিকটায়  বলে বাখর শাক আর পিয়াজ ফুলের তীব্র নির্যাস ছড়িয়ে পড়ে। কচি শসা, মটরশুটির লোভে ছেলে ছোকরাদের মাঠের চারিদিকে ঘোরাঘুরির সময়ই তো এটা। আগে একচিলতে জমিতে তামাকু রসিক বৃদ্ধরা একে ওকে বলে, ধমকিয়ে, ফুসলিয়ে খুক্‌ খুক্‌ কাশির বন্দোবস্ত করে নিতে কিছু তামাক পাতা লাগিয়ে নিতেন। তামাকের ফুল আর পাতার সে কী তীব্র ঘ্রাণ। কীট পতঙ্গ পুরো মরশুমেই মাঠের ধারের কাছে আসতে ভরসা পায় না। এ হল তামাকু সেবনের উপকারিতা।  দোহাই আবগারি বিভাগ, আমার নামে মামলা ঠুকে দেবেন না যেন।

নদীতীরে রবিশষ্যের ক্ষেত পাহারা দেবার জন্য অনেকে বাঁশ খড় দিয়ে ছোট্ট ছোট্ট ঘর বানিয়ে নিত। এসব ঘরে যারা রাত কাটায়, এদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার অফুরন্ত। প্রহরে প্রহরে শেয়ালের আনাগোনা, শীতকাতর খুপিয়া বাঘ (আগে অবশ্য রয়েল বেঙ্গল টাইগারও ছিল)–এর ডাক শুনে ভয়ে দাঁত কপাটি সত্ত্বেও  ঘরটির ভেতর কাঁথা আঁকড়ে শুয়ে থাকে প্রহরীরা। বন্যপ্রাণী নাকি সাধারণত কুড়ে ঘরের ভেতরও সাহস করে মাথা গলায় না।   ভূতের এসব নিয়মের বালাই নেই।  ভয় দেখানোর হরেক কায়দা এদের। কেউ কেউ শিমূল গাছের মাথায় লন্ঠন জ্বালিয়ে রাখে। ন্যাড়া তেঁতুল গাছের মগডালে বসে কেউ আবার কচি বাচ্চার মতো কান্না শোনায়। আর মধ্যরাতে নিশির ডাক তো আছেই। এ অলৌকিক ডাক শুনে কত চাষী যে সবজি ক্ষেত ছেড়ে তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে (পড়ুন আনুয়া, ঠা ঠা শুকনো হাওর) কোথায় হারিয়ে গেছেন, হিসেব নেই।

আর শীতে মৎস্য শিকার? ডহরের মধ্যিখানে বাঁশের খুটি বসিয়ে বিরাট জাল পেতে শিকারি দের ‘খেও’ বসে। মুক্ত আকাশের নিচে গায়ে চাদর জড়িয়ে একটা বাঁশের দণ্ডের উপর দাঁড়িয়ে এ শিকারির সারা রাত উপর নিচ, নিচ উপর করা। নিশাচর মাছ—ভাইয়া চেলা, কাইক্যা, বাইন, পাটা বাইন, লাচোমাছ, সে সঙ্গে আছে কিছু বেয়াড়া রৌ-টাঙ্গি, বোয়াল পেচি (এরা হল সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ মৎস্য শাবক) ঝাকে ঝাকে জালের টানে নৌকার পাটাতনে এসে জমা হয়। ভোর বেলা এ মাছ গ্রাম,বস্তি বাজার পেরিয়ে চালান হয় শহর, গঞ্জেও। শীতের গরম ভাতে এ মাছের ঝাল! আহা, কী স্বাদ!

আর আছে ‘আলো-শিকারি’র দল। নৌকা চড়ে উজান গাঙে এরা রওয়ানা দেয় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে। হাতে ঝাটা, চুলফি, কোচা। গলুইয়ের মাথায় বসানো হ্যাজাক বাতির সাঁ সাঁ শব্দে নৌকোর দিকে ছুটে আসে মাছের দল। শিকারিদের হাতিয়ারের তখন আর বিরাম নেই– ক্যাচ ক্যাচ ধরো আর নৌকোয় ফেলো। আলো সম্বল করে এ অভিযান, তাই নাম আলো শিকার। তবে এখানে হাজারটা হ্যাপা। দেও, আপদ এসবের কথা বাদ দিলেও শিকারের ভাগ নিতে আসে বড়-শিয়াল (খবরদার রাতের বেলা তেনাদের নাম নিতে নেই, মামু বলতে পারো, কিন্তু বা-ঘ-, নেভার)। নাছোড়বান্দা এ প্রাণীর হাত থেকে রেহাই পেতে প্রায়ই শিকারিদের দু’একটা বড় মাছ ছুড়ে দিতে হয়। আশ্চর্য, কী নিপুণ দক্ষতায় তিনি ওই মাছ ক্যাচ করে জঙ্গলের ভেতর ঢুকে যান । এসবের সরেস বর্ণনা এ শীতের আসর ছাড়া আর কথায় শোনা যাবে? বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, অনেক সময় মামাদের জলের ধারে নিজের ল্যাজটি ডুবিয়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকতেও দেখা যায়। বোঁটকা গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ইয়া বড় সাইজের বোয়াল বাবাজি আগ পিছ না ভেবে এতে কামড় বসাতেই কেল্লা ফতে। দক্ষ ছিপুড়ের মতোই তিনি মাছটিকে আকাশে উড়িয়ে তারপর লুফে নেবেন। ‘নেশন্যাল জিওগ্রাফিক’-এর ক্যামেরাম্যান বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারেন ।

ঘোর বর্ষার গালগল্পকে ‘আষাঢ়ে গল্প’ বলে উড়িয়ে দেবার একটা প্রবণতা আছে,  শীতের গল্পের এরকম কোন বদনাম আছে বলে শুনিনি। মহাকবি শেক্সপিয়ার তো ‘উইন্টার্স টেল’ লিখে এ সত্যকেই প্রতিষ্ঠা করে গেছেন চার শতক আগে।

শীতের চোরদের নিয়ে যে কত গল্প রয়েছে লিখতে গেলে সে আরেক সাতকাহন। সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে ভাজা মাছ খেয়ে যাওয়া, ঘরে ঢুকে বেকায়দায় পড়ে গৃহস্তের বিছানায় শুয়ে কাঁথা জড়িয়ে আপাতত ঘুমিয়ে থেকে সুযোগ মত চম্পট দেওয়া। ইত্যাকার কাণ্ডের নায়ক চোরদের কাহিনিতে আমাদের শৈশবের স্মৃতির ভাণ্ড ভরপুর। সুপারি চোর দুই বন্ধু (বন্ধু না ছাই) একে অপরের উপর টেক্কা দিতে কী করেছিল, এসব গল্প আমরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বার বার শুনতাম। লুকিয়ে রাখা চুরি করা সামগ্রী পুকুরের কোন দিকে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে তা নির্ধারণ করতে ঝর ঝর করে ব্যাঙেরপতন দেখে সংকেত বের করে নেওয়ার কায়দা আমাদের মনে গেঁথে আছে। আজকাল এসব গল্পের আর কদর নেই। চোরেরা এখন  বিশেষ হয়ে না থেকে ভদ্রলোক হয়ে সমাজের মধ্যে মিশে আছে। এদের কাছে কী শীত, কী গ্রীষ্ম, সব ঋতুই  ব্যবসার ঋতু। আর ডাকাতরাও পেশা রক্ষার্থে গৃহস্থের ঘরে হানা না দিয়ে সরকারি কার্যালয়, আদালত, সচিবালয়, এমনকি সংসদ বাড়িতে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এসব বেয়াড়া কথা আপাতত না বলাই ভালো ।

শেষ করি শীতের এক বিশেষ অতিথির কথা বলে। আমাদের শহর বা গ্রামবস্তিতে বিরাট তারযন্ত্রে ঝংকার তুলতে তুলতে আসে পশ্চিমি ধুনকরের দল। এরা নিয়ে আসেন উষ্ণতার সম্ভার। দিনভর ধড়াম ধড়াম  লাঠির আঘাতে পুরনো লেপ তোষক ফাটিয়ে চৌচির করে ঠাস্‌ ঠাস্‌ ফটাস্‌ ফটাস্‌শব্দে চারিদিকে ধুলো উড়িয়ে চলে এদের তুলো ধুনা। ধনুকের টংকারে কেমন একটা আমেজ আসে। আজ রাত্তিরে আর হিঃ হিঃ করা শীতের কামড় নেই। আছে কেবল আরাম আর আরাম!

 

 

 


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!