Advertisement
  • এই মুহূর্তে
  • এপ্রিল ৮, ২০২২

চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসব যুবতীর, মাঝপথে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মা ও সদ্যোজাতকে দ্রুত হাসাপাতাল নিয়ে গেল আরপিএফ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসব যুবতীর,  মাঝপথে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মা ও সদ্যোজাতকে দ্রুত হাসাপাতাল নিয়ে গেল আরপিএফ

গত রাতে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের ভুবনেশ্বর থেকে সমস্তিপুরগামী চলন্ত ট্রেনে হঠাৎ প্রসব যন্ত্রণায় আঁতকে ওঠে একজন যুবতী। যহযাত্রীরা কিছু বোঝার আগেই সন্তান প্রসব করেন মহিলা। খবর পেয়ে মেদিনীপুর স্টেশনে থামানো হয় ট্রেনটিকে। এরপর আরপিএফের ‘মাই সহেলি’ টিমের সদস্যরা দ্রুত চিকিৎসককে ডেকে মা এবং সদ্যোজাতকে অতি যত্নের সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। এক মুহূর্তের জন্যও তাঁদের কোনওরকম অসুবিধা হতে দেননি। আর এই ভূমিকার জেরেই আবার যাত্রীমহলে প্রশংসিত হল আরপিএফ।

দক্ষিণপূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৮৪১৯ ভুবনেশ্বর-সমস্তিপুর ট্রেনে উঠেছিলেন যুবতী রিংকি কুমারী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী সুরজ কুমার এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। গন্তব্য ছিল সমস্তিপুর। কিন্তু বালাসোর পেরতেই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় রিংকির। রাতের চলন্ত ট্রেনেই তিনি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। খবর পৌঁছয় আরপিএফের কাছে। দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যমে নিকটবর্তী মেদিনীপুর স্টেশনে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ট্রেনটিকে দাঁড় করানো হয়। শুরু হয় মা ও সন্তানের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন আরপিএফ সদস্যরা।

আরপিএফের ‘মাই সহেলি’ টিম একজন চিকিৎসককে নিয়ে স্টেশনে পৌঁছে যান। এরপর মা ও সদ্যোজাতকে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্টেশন থেকে হাসপাতাল পৌঁছনোর কোনও গাড়ি না থাকায় নিজেরাই একটি প্রাইভেট কার ঠিক করেন তাঁরা। তাতে মহিলার স্বামী-সহ তিনজনকে নিয়ে রওনা দেওয়া হয় হাসপাতালের উদ্দেশে। তাঁদের কাজে সাহায্য করেন মেদিনীপুরের স্টেশন মাস্টারও। মাত্র পঁয়ত্রিশ মিনিটেই সমস্ত কাজ হয়ে গেল নির্বিঘ্নে। এই মুহূর্তে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ফিমেল ওয়ার্ডে ভরতি মা, ছেলে। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্বামী ও পরিবারের সদস্যরাও।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!