- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ১, ২০২৩
“রামময়” উত্তরপ্রদেশ, মন্দির উদ্বোধন ঘিরে যোগী প্রস্তুতি
আগামী ২২ জানুয়ারী অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন।লোকসভা নির্বাচনের অন্যতম ভোট টানার হাতিয়ার হিসেবে রাম মন্দির উদ্বোধনকে কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। বিজেপি চাইছে রাম মন্দিরের ধর্মীয় আবেগগকে ভোটারদের মধ্যে সঞ্চারিত করতে। সেই লক্ষ্যে হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠন দেড়মাসব্যাপী একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার রাম মন্দিরের উদ্বোধন উদযাপনের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে এই রকম কথাই জানিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পরিকল্পনা, রাম মন্দির উদ্বোধনের এক সপ্তাহ আগে থেকে পরবর্তী দেড় মাস সারা রাজ্যকে “রামময়” করে তুলবেন। যোগীর প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকেই রাজ্যের সব মন্দির ও মঠে ভজন-কীর্তন শুরু হয়ে যাবে। তার দায়িত্বে থাকবেন রাজ্যের শিল্পীরাই। ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন মন্দিরে-মন্দিরে রামচরিতমানস ও হনুমানচালিশা পাঠ করা হবে। গাওয়া হবে রামভজনও। ওই দিনটি রাজ্যে বিশেষ উৎসবের দিন হিসাবে পালন করা হবে। ওই দিন সরকারি ছুটি দেওয়া যায় কিনা সেটাও ভাবনা চিন্তায় রয়েছে।
রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দেড় মাস ধরে কর্মসূচি করছে বিজেপির। রাম মন্দির ন্যাস সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্বোধনের পরেও মহোৎসব চলবে ! ৪০ দিন ব্যাপী মণ্ডলোৎসবের ভগবানকে রুপোর কলস দিয়ে অভিষেক করতে পারবেন ভক্তেরা। এছাড়াও দেশজুড়ে রাম মন্দির নিয়ে জাতীয় আবেগের বিস্ফোরণ ঘটাতে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি, সঙ্ঘ পরিবার, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো গেরুয়া সংগঠনগুলি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে শুধু উত্তরপ্রদেশে নয়, গোটা গোবলয়ে এই রাম মন্দির আবেগ ছড়িয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফলের জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির। হিন্দু ভোটের মেরুকরণের লক্ষ্যে মন্দির রাম মন্দির নির্মাণের আগে ও পরে মূলত গো-বলয়ের রাজ্যের বাসিন্দাদের নিখরচায় রাম মন্দির দর্শনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার। তাতে সবরকমভাবে সাহায্য করবে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
ভারতের রাজনীতিতে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্ত থেকেই ধর্ম ও রাজনীতি এক হওয়ার সূত্রপাত। সেই পথ ধরে দেশের শাসক দল বিজেপি ধীরে ধীরে সারা দেশে রাজনীতির মৌলিক চাহিদার থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ধর্মীয় আবেগের ভিত্তিতে রাজনীতিতে মানুষকে করতে জারিত করতে পেরেছে। ধর্মকে রাজনীতির উপাদান হিসেবে ব্যবহারে জিজেপি যদি সফল হয় তাহলে বিজেপি বিরোধীরা ধর্ম ও রাজনীতিকে মিলিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে বিজেপির এই প্রয়াসকে রুখতে না পারা বিজেপি বিরোধীদের রাজনৈতিক পরাজয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
❤ Support Us