- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ৪, ২০২৩
মিজোরামের নতুন মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন আইপিএস লালডুহোমা, ছিলেন ইন্দিরার দেহরক্ষী
লালডুহোমা, ৭৪ বছর বয়সী একজন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। এই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার জোরাম পিপলস মুভমেন্ট বা জেডপিএম-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৷ এই প্রাক্তন আইপিএস অফিসার প্রথমে গোয়াতে কাজ করেছিলেন, তাঁকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধির প্রাক্তন দেহরক্ষীই মিজোরামের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন।
১৯৮০-র দশকে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন আইপিএস অফিসার লালডুহোমা। ১৯৮২ সালে অসম থেকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে সোজা ইন্দিরার নিরাপত্তা অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ইন্দিরা জানতে পেরেছিলেন, ১৯৭৭ সালে আইপিএস হওয়ার আগে রাজ্য প্রশাসনিক সার্ভিসের অফিসার হিসাবে মিজোরামের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী সি ছুংগার সহায়ক ছিলেন তিনি। লালডুহোমার রাজনৈতিক জ্ঞান দেখে ইন্দিরাই ১৯৮৪ সালে ফের তাঁকে মিজোরামে পাঠান। পুলিশের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে লোকসভার সাংসদ হন লালডুহোমা। দায়িত্ব পান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরও।
রাজীব গান্ধির শাসনকালে লালডেঙ্গার নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের সঙ্গে ঐতিহাসিক মিজো চুক্তির মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিজোরাম রাজ্যে শান্তি ফেরানোর ক্ষেত্রে রাজীব গান্ধির শাসনকালে লালডেঙ্গার নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের সঙ্গে ঐতিহাসিক মিজো চুক্তির মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিজোরাম রাজ্যে শান্তি ফেরানোর ক্ষেত্রে লালডুহোমার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। ঘটনাচক্রে, সে সময় মিজো বিদ্রোহীদের অন্যতম নেতা ছিলেন জোরামথাঙ্গা। শান্তিচুক্তির পরে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন লালডেঙ্গা। এক্ষেত্রে লালডুহোমার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
এর পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালথানহাওলার সঙ্গে সংঘাতের জেরে কংগ্রেস ছেড়ে প্রথমে মিজো ন্যাশনাল ইউনিয়ন গড়েন লালডুহোমা। তার পরে তিনি যোগ দেন আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী টি সাইলোর নেতৃত্বাধীন পিপলস কনফারেন্সে। পরের গন্তব্য ছিল লালডেঙ্গার দল এমএনএফ। লালডেঙ্গার মৃত্যুর পরে তাঁর উত্তরসূরি জোরামথাঙ্গার সঙ্গে বিরোধের জেরে লালডুহোমা তৈরি করেছিলেন জোরাম ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা জেডএনপি। ২০০৩ এবং ২০০৮ সালে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি।
২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের আগে জেডএনপি এবং আরও কয়েকটি আঞ্চলিক দলকে নিয়ে জেডপিএম গড়েছিলেন তিনি। সদ্যগঠিত সেই দল জিতেছিল আটটি আসনে। এক দশক ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসকে তিন নম্বরে ঠেলে জেডপিএম প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে দল হিসাবে তখনও স্বীকৃতি না পাওয়ায় জেডপিএম প্রার্থীরা নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়েছিলেন। ওই ভোটে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের লালথানহাওলাকে সেরচিপ আসনে পরাস্ত করেন লালডুহোমা। এর পর আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘রাজনৈতিক দল’ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে জেডপিএম, তার সভাপতি হন লালডুহোমা।
মিজোরামে সোমবার সকালে বিধানসভা নির্বাচনের গণনা শুরুর সময় থেকেই গণনার প্রবণতায় ইঙ্গিত মিলেছিল লালডুহোমা এগিয়ে চলেছেন। সকাল পার করে দুপুর গড়াতেই স্পষ্ট হয়ে গেল মিজোরাম বিধানসভায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আইজলের সিংহাসনে বসতে চলেছেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির দেহরক্ষী বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান লালডুহোমা। ৪০ আসনের মিজোরাম বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক ফিগার ২১। জেডপিএম জিতেছে ২৭টি আসনে। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার দল এমএনএফ জিতেছে ১০টি আসনে। কংগ্রেস ১টিতে এবং বিজেপি ২টি আসনে জয়ী হয়েছে।
লালডুহোমা, ৭৪ বছর বয়সী একজন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। এই অবসরপ্রাপ্ত অফিসার জোরাম পিপলস মুভমেন্ট বা জেডপিএম-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৷ তিনি প্রথমে গোয়াতে কাজ করেছিলেন, তাঁকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধির প্রাক্তন দেহরক্ষীই মিজোরামের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন।
১৯৮০-র দশকে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন আইপিএস অফিসার লালডুহোমা। ১৯৮২ সালে অসম থেকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে সোজা ইন্দিরার নিরাপত্তা অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ইন্দিরা জানতে পেরেছিলেন, ১৯৭৭ সালে আইপিএস হওয়ার আগে রাজ্য প্রশাসনিক সার্ভিসের অফিসার হিসাবে মিজোরামের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী সি ছুংগার সহায়ক ছিলেন তিনি। লালডুহোমার রাজনৈতিক জ্ঞান দেখে ইন্দিরাই ১৯৮৪ সালে ফের তাঁকে মিজোরামে পাঠান। পুলিশের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে লোকসভার সাংসদ হন লালডুহোমা। দায়িত্ব পান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরও।
রাজীব গান্ধির শাসনকালে লালডেঙ্গার নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের সঙ্গে ঐতিহাসিক মিজো চুক্তির মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিজোরাম রাজ্যে শান্তি ফেরানোর ক্ষেত্রে রাজীব গান্ধির শাসনকালে লালডেঙ্গার নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের সঙ্গে ঐতিহাসিক মিজো চুক্তির মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিজোরাম রাজ্যে শান্তি ফেরানোর ক্ষেত্রে লালডুহোমার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। ঘটনাচক্রে, সে সময় মিজো বিদ্রোহীদের অন্যতম নেতা ছিলেন জোরামথাঙ্গা। শান্তিচুক্তির পরে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন লালডেঙ্গা। এক্ষেত্রে লালডুহোমার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
এর পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালথানহাওলার সঙ্গে সংঘাতের জেরে কংগ্রেস ছেড়ে প্রথমে মিজো ন্যাশনাল ইউনিয়ন গড়েন লালডুহোমা। তার পরে তিনি যোগ দেন আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী টি সাইলোর নেতৃত্বাধীন পিপলস কনফারেন্সে। পরের গন্তব্য ছিল লালডেঙ্গার দল এমএনএফ। লালডেঙ্গার মৃত্যুর পরে তাঁর উত্তরসূরি জোরামথাঙ্গার সঙ্গে বিরোধের জেরে লালডুহোমা তৈরি করেছিলেন জোরাম ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা জেডএনপি। ২০০৩ এবং ২০০৮ সালে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি।
এর পর ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের আগে জেডএনপি এবং আরও কয়েকটি আঞ্চলিক দলকে নিয়ে জেডপিএম গড়েছিলেন তিনি। সদ্যগঠিত সেই দল জিতেছিল আটটি আসনে। এক দশক ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসকে তিন নম্বরে ঠেলে জেডপিএম প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে দল হিসাবে তখনও স্বীকৃতি না পাওয়ায় জেডপিএম প্রার্থীরা নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়েছিলেন। ওই ভোটে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের লালথানহাওলাকে সেরচিপ আসনে পরাস্ত করেন লালডুহোমা। এর পর আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘রাজনৈতিক দল’ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে জেডপিএম, তার সভাপতি হন লালডুহোমা।
মিজোরামে সোমবার সকালে বিধানসভা নির্বাচনের গণনা শুরুর সময় থেকেই গণনার প্রবণতায় ইঙ্গিত মিলেছিল লালডুহোমা এগিয়ে চলেছেন। সকাল পার করে দুপুর গড়াতেই স্পষ্ট হয়ে গেল মিজোরাম বিধানসভায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আইজলের সিংহাসনে বসতে চলেছেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির দেহরক্ষী বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান লালডুহোমা। ৪০ আসনের মিজোরাম বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক ফিগার ২১। জেডপিএম জিতেছে ২৭টি আসনে। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার দল এমএনএফ জিতেছে ১০টি আসনে। কংগ্রেস ১টিতে এবং বিজেপি ২টি আসনে জয়ী হয়েছে।
❤ Support Us