- কে | রি | য়া | র-ক্যা | ম্পা | স
- জুন ৪, ২০২২
সাফল্যে আল আমীন আরও উজ্জ্বল, মেধাতালিকার প্ৰথম দশে দুই ছাত্রী
প্ৰথম বিভাগে পাশের হার ৯৯%

প্ৰথম দশে ১১৪। মেধাতালিকায় এত নাম ! ২০২২ সালে মাধ্যমিকের রেজাল্ট সত্যিই নজির। দীর্ঘ দুবছর পর হলে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। কোভিড পরিস্থিতিতে স্কুলে গিয়ে পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। অনলাইনে পড়াশুনা চললেও, সে প্রক্রিয়ার সুযোগ সবাই পায়নি। আর সেখানেই সব থেকে বড়ো চমক। অতিমারীর সময়, শহর কলকাতার স্কুলগুলিতে অনলাইনে পড়াশুনা চললেও রাজ্যের প্রান্তিক জেলা এবং তার গ্রামাঞ্চলে সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল বাংলার অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বেড়েছিল স্কুলছুটের সংখ্যা । কোভিড পরিস্থিতিতে, অর্থিক অনটনে অনেকেই পড়াশুনা ছেড়ে শুরু করেছিল কাজ। সেই পরিস্থিতিতে মাধ্যমিকের মেধাতালিকার প্ৰথম দশে ১১৩জনই কলকাতার নয়, বাংলার জেলার । মেধাতালিকায় নজর দিলে আরেকটি বিষয়ও স্পষ্ট, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর পড়াশুনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছাত্রছাত্রীরা তাদের মেধায়, নিজেদের অধ্যাবসায়ে দৃষ্টান্ত গড়েছে । শুধু প্রথম দশে নয়, সার্বিকভাবেই কলকাতার প্রথিতযশা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে এগিয়ে বাংলার জেলারস্কুল গুলো । বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত সোশ্যালমিডিয়ার একবার্তায় লিখেছেন আমাদের জেলার ছাত্রছাত্রীরা অসাধারণ ফলাফল করেছে, কলকাতার ছাত্রছাত্রীদের ফলাফলে আমরা গর্বিত।
এবছর আরেকটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ । সমাজের যে শ্রেণী, আর্থসামাজিক ভাবে অনগ্রসর, পড়াশুনার আধুনিক সুযোগ গ্রহণে বঞ্চিত, তাদের চমকপ্রদ রেজাল্ট। বাংলার শিক্ষা মানচিত্রে দীর্ঘদিন ধরেই প্রান্তিক, দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করতে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করছে আল অমীন মিশন, জিডি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। এবারের মাধ্যমিকে, প্রথম কুড়িজনের মধ্যে রয়েছে সেইসব শিক্ষা সংগঠনের ১৯ জন ছাত্রছাত্রী । নব্বই শতাংশের ওপর নম্বর পেয়েছে প্রায় ৭০০ জন।
শুধুমাত্র সংখ্যালঘু, বা বিশেষ ধর্মাবিলম্বী হিসেবে চিহ্নিত করে এদের সাফল্যকে নির্দেশায়িত করা বোধহয় সমচীন নয়। বিশেষত নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে, গত কয়েকদশক জুড়ে আল আমীন মিশন বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে, প্রান্তিক পড়ুয়াদের শিক্ষার সুযোগ দিতে তাদের নিষ্ঠা এবং একাগ্রতা প্রমাণ করেছে। এবারেও মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্ৰথম দশে মিশনের দুজন ছাত্রী, আরফিন খাতুন এবং মোনালিসা পারভীন । আরফিনের বাড়ি মালদার কালিয়াচকে, মোনালিসা থাকে দক্ষিণচব্বিশ পরগণার হাওড়ামারী গ্রামে । এগারো তম স্থানে রয়েছে আর এক ছাত্র, তার নাম ইমদাদুল। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে। এবছর আল আমীন থেকে পরীক্ষায় বসেছিল ১৮৯০ জন পড়ুয়া । তার মধ্যে ৬৩৬জনই ৯০ শতাংশের ওপর নম্বর পেয়েছে। প্ৰথম বিভাগে পাশের হার ৯৯%।
অন্যদিকে জিডি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট রাজ্য জুড়ে যেসব স্কুল পরিচালনা করে, তাদের পড়ুয়ারাদের ফলাফলও বেশ ভালো, ৯০শতাংশের ওপর নম্বর পেয়েছেন একাধিক ছাত্রছাত্রী।
❤ Support Us