Advertisement
  • চা । রু । ল । তা দে । শ
  • মার্চ ১৮, ২০২৩

প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে নজির গড়লেন অরুণাচলের দুই তরুণী।প্রচেষ্টাকে সম্মানিত করলো মার্কিন সংস্থা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে নজির গড়লেন অরুণাচলের দুই তরুণী।প্রচেষ্টাকে সম্মানিত করলো মার্কিন সংস্থা

উন্নত প্রযুক্তিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিচালনা করে তাক লাগিয়ে দিলেন অরুণাচলের দুই তরুণী। নাম সীমা পিজি এবং নিক জেসমিন।চিন সীমান্তবর্তী  রাজ্যের পূর্ব কামেং জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে ম্যানেজ ফাইল ট্রান্সফার সার্ভিস (এমএফটিএস)  চালু করেছেন তাঁরা। যা স্থানীয় মানুষের রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেছে।দুর্গম পার্বত্য অরুণাচলে ড্রোনের মাধ্যমে চিকিৎসার পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন এই জুটি।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পরীক্ষামূলক ভাবে কামেং জেলায় চালু হয় এমএফটিএস। পিজি প্রথমে নার্সিং-এর সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরে মেডিক্যাল কো-অর্ডিনেটের হন। তাঁর বন্ধু জেসমিন প্রথম ড্রোন অপারেটর রূপে এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এমএফটি এস কীভাবে কাজ করে তার সম্পর্কে তাঁরা বলেছেন, প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি থাকা কোনো অসুস্থ রোগীর পক্ষ থেকে একটি এসওএস বা জরুরি কোনো বার্তা আসে। তারপর তাঁরা ৩০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে যান। তাই জটিল কোনো অসুখ থাকলেও দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।

প্রত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলে চিকিৎসা পরিষেবা পরিচালনা করতে তাদের ড্রোন সহযোগী ভূমিকা পালন করে। জেসমিনের কথায়, তাঁদের ড্রোন সবসময় বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়ায়। সাধারণ মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা তাঁর এই ড্রোন মারফত জানতে পারেন ও সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।জেসমিন নিজে একজন প্রশিক্ষিত প্যারাগ্লাইডার, পাশাপাশি নার্সিং ট্রেনিং, ড্রোন চালনার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পার্বত্য অরুণাচলের বিভিন্ন প্রান্তিক অঞ্চলে অপ্রতুল চিকিৎসা পরিকাঠামো। গত জানুয়ারি থেকে সীমা এবং নিক সেইসব প্রান্তিক অঞ্চলে  চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দ্যোগ নিয়েছেন।স্থানীয় মানুষদের মধ্যেও তাঁদের জনসেবামূলক কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।  মানুষ নিজে থেকে ড্রোনের কাছে এসে তাঁদের সমস্যার কথা নথিভূক্ত করেন, সেখানকার রেকর্ডিং সিস্টেমে।সেই সমস্যার কথা সীমা নিক জুটি পৌঁছে দেন সংশ্লিষ্ট দফতরে।খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যায় সরকারি চিকিৎসক দল। 

 এমএফটিএস পাহাড়ি অঞ্চলে বিকল্প ধারার চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করছে।  সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেণ্ট বা ইউএসএআইডি। সম্প্রতি সংস্থা দুই তরুণীর যৌথ উদ্যোগকে সম্মান জানিয়েছে। আগামী দিনে উত্তর-পূর্ব ভারতে বিকল্প অথচ সহযোগী চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার জন্ম নিতে পারে। মেয়েদের হাত ধরেই সে সম্ভাবনা যেন ক্রমশ উজ্জ্বলতর হয়ে  উঠছে

 


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!