Advertisement
  • খাস-কলম ন | গ | র | কা | হ | ন
  • আগস্ট ২, ২০২৩

বাংলাদেশে রাস্তায় রক্তের শাসন কি আসন্ন? বিভিন্ন দলকে বৈঠকে বসে সুরাহা খোঁজার প্রস্তাব কমিশনের। মার্কিন দূতের সঙ্গে প্রাক্‌ নির্বাচনী সঙ্কট নিয়ে আলোচনার রহস্য কী?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বাংলাদেশে রাস্তায় রক্তের শাসন কি আসন্ন? বিভিন্ন দলকে বৈঠকে বসে সুরাহা খোঁজার প্রস্তাব কমিশনের। মার্কিন দূতের সঙ্গে প্রাক্‌ নির্বাচনী সঙ্কট নিয়ে আলোচনার রহস্য কী?

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ আর তদারকি সরকার গঠনের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে বি.এন.পি, জামাত-এ-ইসলামি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্তে তাঁদের নানা রকমের কর্মসূচি চলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ সুষ্ঠু ভোটের দাবি তুলছে। এসব দেশের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক করে তুলছে। আওয়ামি লিগের দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ কিংবা তদারকি সরকার গঠনের প্রশ্ন ওঠে না। কয়েকটি দেশের দূতকে তলব করে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক ইতিমধ্যে অহেতুক হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ করেছে।

ঢাকা ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলগুলির কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশে উত্থানের ৫ দশক পেরিয়ে গেছে। বহুধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গণতন্ত্র খানিকটা স্থিতিশীল হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে প্রভুত উন্নতি হয়েছে দেশের। আওয়ামি লিগ মনে করে, মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ার সগে সরকারের পদত্যাগের দাবি যুক্তিহীন।

দ্বিতীয়ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট করানো দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। সরকার বিরোশীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছে, সে প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছে বি.এন.পি। নেত্রী খালেদা জিয়া সরকারের প্রস্তাবকে বিলকুল আমল দেননি। বি এন পির-র নেতা কর্মীরা যে ভাষায় শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করেছেন, তা বাঞ্ছনীয় নয়। আওয়ামি লিগের কোনো কোনো সর্বোচ্চ নেতাও বি.এন.পিকে রুচিহীন ভাষায় কটাক্ষ করছেন। বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে এই সব আক্রমণ -পাল্টা আক্রমণের প্রভাব নেতিকে প্ররোচিত করবে।

বাংলাদেশ স্পর্শকাতর মানচিত্র। তাঁর ভৌগোলিক অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চারদিকে ভারত। আরেকদিকে মায়ানমার বাংলাদেশের স্থিতিশীল রাজনীতি ভারতের পক্ষে খুবই জরুরি। সমগোত্রীয় সমতট অস্থির হলে ভারতেরও উদ্বেগ বাড়বে। প্রতিরক্ষা, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে দিল্লি সহজে নাক গলায় না। তীক্ষ্ণ নজর রাখে। দুই দেশের সম্পর্ক অনেক টানাপোড়েনের ভেতর দিয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় পৌছেছে। ভারত চায় সম্পর্কের উন্নতি। যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো দ্রুত উন্নয়ন। রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করছে ভারত। দ্রুত পণ্যবাহী যান তার ভেতর দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ঢুকে পড়ছে।

ভারতকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ রেমিটেন্স দেয়, তা আমেরিকা ছাড়া অন্য কোনো দেশ দিতে পারে না। অর্থনৈতিক স্বার্থেও দুই দেশ পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। দ্বিতীয়ত, এক দেশ আরেক দেশের নিকটতম প্রতিবেশী। বাংলাদেশে মৌলবাদ অথবা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উত্থান কেবল প্রতিবেশী দেশের সর্বনাশ ডেকে আনবে না, ভারতকেও বেকায়দায় ফেলবে। পশ্চিমের কোনো কোনো দেশ সুস্থ ও সবল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকার রাজনীতি নিয়ে নাক গলালে দিল্লি কী করবে? চুপ করে বসে থাকবে? যে সব দেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে ছিল না, পাকিস্তানের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও গণহত্যার প্রতিবাদ করেনি, তাঁদের দাদাগিরি উপমহাদেশের অমঙ্গলকে বড়ো করবে। এজন্যই বাংলাদেশকে নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের উদ্বেগ বাড়ছে। সবাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশী। গ্রামীণ মধ্যবিত্ত ও কৃষকদের কেউ কেউ বিভ্রান্ত করছে। প্ররোচনা জোগাচ্ছে। নির্বাচনের আগে উস্বকানির পরিণোতি কী দাঁড়াবে, বলা মুশকিল। নির্বাচন কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবির কাছে কি মাথা নোয়াবে? না শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেই পরবর্তী জাতীয় সংসদের নির্বাচন করতে চাইবে?কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন আজ কমিশন।

একদিকে দেশের স্থিতি, অন্যদিকে বিরোধীদের প্ররোচিত অভিপ্রায়। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল অডিয়াল মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিন্টার ডি হাসের সঙ্গে প্রায় একঘণ্টা নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা বলছি, ওঁরাও বিশ্বাস করেন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে টেবিলে বসে সমস্যার সুরাহা করতে হবে। আলোচনা ছাড়া রাজপথে কোনো মীমাংসা হবে না। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে পিন্টার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার। তাঁর আলোচনার মৌখিক প্রস্তাবকে কতটা আমল দেবে বিরোধী দলগুলি? প্রশ্ন সহজ, কিন্তু জটিল তার উত্তর। জটিল ভাবলে জটিলতর হয়ে উঠবে ভোটের প্রাক্‌পর্ব এবং রাস্তায় নামতে পারে রক্তের শাসন।

 

বিশেষ বিশ্লেষণ : আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক


  • Tags:

Read by:

❤ Support Us
Advertisement
homepage block publication
Advertisement
homepage vertical advertisement mainul hassan publication
Advertisement
Advertisement
শিবভোলার দেশ শিবখোলা স | ফ | র | না | মা

শিবভোলার দেশ শিবখোলা

শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া স | ফ | র | না | মা

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া

সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।

মিরিক,পাইনের লিরিকাল সুমেন্দু সফরনামা
error: Content is protected !!