Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • ডিসেম্বর ২২, ২০২৩

বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাইয়ের নামে হয়রানি, গ্যাস উপভোক্তাদের হেনস্থা । স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটাররা চালাচ্ছেন অসাধু চক্র, শহর জুড়ে উঠছে অভিযোগ

ভর্তুকি সুনিশ্চিত করতেই আধার যাচাই, ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে না সময়, এজন্য দিতে হবে না কোনো টাকা। বাড়িতে বসেই প্রবীণদের কেওয়াইসি। রাষ্ট্রীয় পেট্রোলিয়াম সংস্থা গুলির স্পষ্ট নির্দেশ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাইয়ের নামে হয়রানি, গ্যাস উপভোক্তাদের হেনস্থা । স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটাররা চালাচ্ছেন অসাধু চক্র, শহর জুড়ে উঠছে অভিযোগ

রান্নার গ্যাসের উপভোক্তা নম্বরের সঙ্গে আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক লিংক করার কাজ চলছে দেশজুড়ে । এই রাজ্যেও গ্যাস সংযোগ ডিস্ট্রিবিউটরের অফিসের বাইরে সকাল থেকেই লম্বা লাইন নজরে পড়ছে । আধার কার্ড হাতে নিয়ে গ্যাস-আধার লিংকের জন্য সকাল থেকে উপচে পড়ছে গ্যাস সংযোগের অফিস ভিড় । গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটরের অফিসে সকাল থেকে অপেক্ষা করছেন সাধারণ মানুষ, বয়স্কদের হয়ে লাইনে দাঁড়াচ্ছে তাঁদের ছেলে,মেয়ে বা পরিবারের অন্য কেউ বা পরিচিত কোনও বান্ধব । ফলত গ্যাস-আধার লিংক করতে গিয়ে সারা দিন চলে যাচ্ছে কারও কারও ।
হয়রানির এখানেই শেষ নয় । গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের অফিসে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা গ্যাস-আধার লিংক করার সময় উপভোক্তাদের এক প্রকার জোর করে “এলপিজি হোস পাইপ” কিনতে চাপ দিচ্ছে বা বাধ্য করছে । কারও কাছ থেকে ১৯০ টাকা কারও কাছ থেকে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হচ্ছে “এলপিজি হোস পাইপ” বিক্রির নামে । অনেকেরই “এলপিজি হোস পাইপ” ভালো থাকার জন্য তাঁরা “এলপিজি হোস পাইপ” কিনতে চাইছেন না, তাঁদের বলা হচ্ছে আপনার গ্যাস-আধার লিংক তাহলে কি ভাবে করবেন সেটা নিজে ঠিক করে নিন ।

এদিকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে ভর্তুকির অর্থ পৌঁছানো সুনিশ্চিত করতেই বায়োমেট্রিক আধার অথেন্টিকেশনের কাজ শুরু হয়েছে । এরজন্য নির্দিষ্ট কোনও সময় সীমা নেই । অনেক গ্রাহকদেরই অভিযোগ, স্থানীয় গ্যাস সরবারহকারী সংস্থা এবং ডেলিভ্যারি ম্যানরা বলছেন, এমাসের ৩১ তারিখই ফোনের সঙ্গে আধার সংযোগের শেষদিন । যা সত্য নয় । রাষ্ট্রীয় গ্যাস সরবারহ সংস্থাগুলির বক্তব্য এরকম কোনো নির্দেশ তাদের কাছে নেই । কেউ যদি ভর্তুকি চান তবেই আধার যাচাই করতে হবে, এবং সেটা যেকোনও সময়েই গ্যাসের দোকানে গিয়ে করা যাবে । বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়িতে গিয়েও, নির্দিষ্ট যন্ত্রের সাহায্যে আধার সংযুক্তি করণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে গ্যাস ডেলিভারি ম্যান ।

যদিও বাস্তব চিত্রটা ঠিক উল্টো, কলকাতার সর্বত্র এলপিজি গ্যাস উপভোক্তাদের অভিযোগ  গ্যাস-আধার লিংক করার সময় “এলপিজি হোস পাইপ” কিনতে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ ।দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় জনৈক গ্যাস উপভোক্তার অভিযোগ, ভারত গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটরের অফিসে গ্যাস-আধার লিংক করতে গিয়েছেন তখন তাঁকে বলা হয় আপনার “এলপিজি হোস পাইপ” ২১ বছর আগে শেষ পরিবর্তন করা হয়েছিল । রেকর্ডে সেটাই দেখাচ্ছে । ওই উপভোক্তা তখন বলেন, গত দেড় বছর আগে ১৯০ টাকা দিয়ে বাড়িতে গ্যাস যে ডেলিভারি ম্যান গ্যাস পৌঁছে দেয় তার কাছ থেকে তিনি “এলপিজি হোস পাইপ” বদল করেছেন । তবে ওই উপভোক্তার যুক্তি মানেনি ওই গ্যাস এজেন্সির কর্মচারীরা, বলেছেন, ডেলিভারি ম্যান শুধু গ্যাস আপনার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে, তার কাছ থেকে কেন “এলপিজি হোস পাইপ” কিনেছেন? ওই উপভোক্তার অভিযোগ , এর ফলে বাধ্য হয়ে তাঁকে ২০০ টাকা দিয়ে “এলপিজি হোস পাইপ” কিনতে হয়েছে । অথচ তাঁর বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে গ্যাস ওভেনের সংযোগকারী “এলপিজি হোস পাইপ” ভালোই আছে ।

উপভোক্তাদের অভিযোগ, গ্যাস-আধার লিংকের নামে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের অফিস থেকে এই অসাধু উপায়ে “এলপিজি হোস পাইপ” বিক্রির ব্যবসা চলছে ।

ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড সূত্রে জানা গিয়েছে, কেওয়াইসির জন্য কোনও টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই । আর পাঁচ বছরের পুরনো হলে তবেই নিরাপত্তার জন্য নতুন “এলপিজি হোস পাইপ” নিতে হয় । তবে সেটাও বাধ্যতামূলক নয়, উপভোক্তা চাইলে নতুন “এলপিজি হোস পাইপ” নাও নিতে পারেন ।

এখানেই শেষ নয় । এখনও কেউ যদি বাড়িতে নতুন রান্নার গ্যাসের সংযোগ নেন তাহলেও সেই উপভোক্তাকে গ্যাসের ওভেন কিনতে বাধ্য করা হয় সমস্ত গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের অফিস থেকে । উপভোক্তা যদি তাঁর পছন্দের সুরক্ষিত গ্যাস ওভেন বাইরে থেকে কেনেন তাহলে সেটা জানার পর গ্যাস ডিস্ট্রিবউত্তরের অফিস থেকে বলে দেওয়া হয় গ্যাসের সিলিন্ডারটাও তাহলে বাইরে থেকেই নিয়ে নিন ।

বছর শেষে বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমিয়েছে পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলি । চারটি মেট্রো শহরে ১৯ কিলোগ্রাম বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করেছে। ২২ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে এই দাম ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!