Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • আগস্ট ২৬, ২০২৩

“মমতা পুলিশ খেজুড়িতে বিজেপিকে আটকাতে পারবে না”, আলিপুর বাজারের সভা থেকে হুঙ্কার শুভেন্দুর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
“মমতা পুলিশ খেজুড়িতে বিজেপিকে আটকাতে পারবে না”, আলিপুর বাজারের সভা থেকে হুঙ্কার শুভেন্দুর

“আলিপুর বাজারে ২০০৮ সালে আমি পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসেছিলাম, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখানে নামগন্ধ ছিল না। আজ এতোদিন পরে আপনারা আমাকে যে ভাবে গ্রহণ করলেন তাতে আগামী দিনে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভাইপোকে রাজ্য থেকে রাজনৈতিক ভাবে উৎখাত করব”, এভাবেই শনিবার খেজুড়ির আলিপুর বাজারে সভায় বক্তব্য শুরু করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু এদিন বলেন, “আপনাদের ২০২১ থেকে বিপদ চলছে। আপনাদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্যাক্টর নয়, মমতা পুলিশ আপনাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণ করছে। ওরা বিজেপির উদয়কে পাল্লায় মেপে কিনেছে। তাও ওরা ১১ আমরা ১৩। সবগুলি কর্মাধ্যক্ষ আমরাই তৈরি করব। দেখবি আর জ্বলবি,লুচির মতো ফুলবি। ৫ তারিখ আমরাই বোর্ড গঠন করব।”
এদিন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে অভিষেককে যেমন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী আক্রমণ করেন তেমন সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক রাজনীতিক বলে কটাক্ষ করেন। শুভেন্দু বলেন, “ব্রিটিশ পুলিশ যেমন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মেদিনীপুর জেলায় রুখতে পারেনি তেমনই মমতা পুলিশও এই জেলায় বিজেপিকে রুখতে পারবে না। খপজুড়ির মাটি, বিজেপির দুর্জয় ঘাটি। এবার নরেন্দ্র মোদিকে ৪০০ আসন দিয়ে জিতিয়ে আনতে মেদিনীপুর জেলা বড় অংশীদার হবে।”

শুভেন্দু বলেন, “এখনও আপনাদের অনেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বাড়ি যেতে পারেননি। তৃণমূলের মদতে পুলিশ এখানে সনাতন অনুষ্ঠান হতে দেয়নি। এই আক্রমণকে সামনে রেখে আপনারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেজুড়ি ১ নম্বর ব্লক সহ সব জায়গায় কঠিন লড়াই করেছেন। তবে বেশ কিছু বুথে কারসাজি করে তৃণমূল ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে অনেক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়ে আপনারা জিতেছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে ৮৪ জন প্রধান বিজেপির হয়েছে। ১৪টা জেলা পরিষদ আমরা জিতেছি, সার্টিফিকেট দিতে বাধ্য হয়েছে। এখানে তৃণমূলের এতো খিদে যে উদয় ও একজন মহিলা বিজেপি সদস্যকে ১০ লাখ ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা খরচ করেছে। আমি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছিলাম,এটা উদয় করলে বুঝতাম। এটা আলিপুর বাজারে মিটিং করলাম এরপর উদয়ের বুথে যাব, কেন না উদয় ওখানকার মানুষের রায়কে উপেক্ষা করেছে। আমি ৯ জন কর্মাধ্যক্ষকে নিয়ে উদয়ের বুথে এর পর যাব। যত পুলিশ বদলাও এই জেলাকে দমাতে পারবে না। ব্রিটিশ পুলিশও পারেনি। ১৯৪২ সালে তমলুকের জাতীয় সরকার হয়েছিল, ২২ মাস এই জাতীয় সরকার ব্রিটিশদের রুখেছিল। এর মধ্যে খেজুড়ি থানা ছিল। এখান থেকে আভা মাইতিরা লড়েছিলেন। তাই বলছি গাঁজা কেস দিয়ে মমতা পুলিশ বিজেপিকে ঠেকাতে পারবে না। ২০২৪ এর নির্বাচন মোদিজিকে জেতানোর নির্বাচন। মোদি না থাকলে আমাদের এখানে তালিবানরাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। নরেন্দ্র মোদির সরকারের সহায়তায় চাঁদে ভারতের জাতীয় পতাকা পৌঁছেছে। তাই মোদিজি থাকলে সব থাকবে। করোনার থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন মোদিজি। গতবারের হেরে যাওয়া দক্ষিণ কাঁথি, তমলুকে বিজেপি জিতবে। চোরেদের অনেকটা উচ্ছেদ পঞ্চায়েত ভোটে করতে পেরেছি। তবে যতটা হয়নি সেটা লুঠের জন্য হয়নি।”
এরপর সরাসরি তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, “এতোদিন জানতাম তৃণমূল কয়লা,বালি খায়। এখন দেখলাম তৃণমূল ব্যালট খায়। তবে তৃণমূূলের ছোট চোরতো বাদ দিলান, চোরের রানী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইভিএম খেতে পারবেন না। খেজুড়ির মাটি বিজেপির দুর্জয় ঘাটি। আমরা উন্নয়ন চাই। মদ,লটারি নয়। ৫০০ টাকায় কিছু হয় না, যেদিন রাজ্যে বিজেপি আসবে, সেদিন প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে মা, বোনেদের ২ হাজার টাকা মাসে দেওয়া হবে। এই রাজ্যে যোগী আদিত্যনাথের মতো, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো সরকার চাই।”
এদিন আলিপুর বাজারের সভামঞ্চে কিছু কর্মী বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকে সামনে রেখে ভাইপো অনেক টাকা করেছে। আপনারা চাইছেন তো চোরেরা অনুব্রতর সঙ্গে থাকুন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশ বিরোধী শক্তি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইসরোকে সমালোচনা করছেন, জাতীয়তাবাদকে বিরেধীতা করেন মমতা। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের  ডাব্লুটিআইকে দিয়ে নো ভোট টু বিজেপি প্রচার করান। তন্ময় ঘোষ, যাদবপুরে অতিবাম রাজনীতি করে, তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে বড় পদ পায়। মমতা পুলিশ আলিপুর বাজারের এই সভা বাতিল করতে চেয়েছিল। আদালত বলেছে, এটা পুলিশ রাজ্য নয়। সভা করতে দেওয়া হোক।”
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাথরাস, মণিপুর নিয়ে লেকচার মারেন, মাটিগাড়ায় নাবালিকা খুন নিয়ে কি বলেছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাম নবমীর মিছিল মুসলিম এলাকায় যেন না ঢোকে। মহরমের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু মন্দির কাপড় দিয়ে ঘিরে দেন। এসব কিন্তু কোনও মুসলমান চান না বা বলেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক রাজনীতিক।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!