- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১৬, ২০২৩
দু বছরে ভারতে ক্ষুধার্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৫ কোটিতে।মন্তব্য, আপ মন্ত্রী আতিশীর। বিজেপির পাল্টা জবাব, বেড়েছে দেশ বিরোধিতাও

রাহুলের পর এবার বিজেপির নিশানায় আতিশী। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের ভাষণে ভারতে ক্রমবর্ধমান ক্ষুধার কথা উল্লেখ করে গেরুয়া শিবিরের তোপের মুখে দিল্লির বিধায়ক। ওয়েনারের বহিষ্কৃত সাংসদের মতো তাঁকেও ভারত বিরোধী আখ্যায় ভূষিত করা হয়েছে। আপের পক্ষ এখনো কোনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে,দিল্লির শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সংক্রান্ত আলচনা সভায় যোগ দ্দিয়েছিলেন দিল্লির আপ বিধায়ক।সেখানে তিনি বলেন, ২০২০ থেকে ২০২২ —এ কালপর্বে যেমন ধনকুবেরের সংখ্যা ভারতে বেড়েছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তিনি দেখান, দুবছর আগে দেশে ১৯ কোটি মানুষ ছিল যারা দুবেলা দুমুঠো ভালো করে খেতে পারত না। এখন সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটিতে।
তাঁর আরো সংযোজন, একটা দেশের আর্থিক বিকাশের কেবলমাত্র জিডিপি হতে পারে না। এক্ষেত্রে মানব উন্নয়ন সূচককেও বিচার করে দেখতে হবে। আর তা যদি ধরা হয় তাহলে দেখা যাবে, ভারতের প্রতিবেশী ভুটান,শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো অবস্থায় আছে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, মানব উন্নয়নের নিরিখে ভারতের স্থান বর্তমানে ১৩২।
আপ বিধায়কের এ মন্তব্যকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেনি কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন শাসক দল। দলীয় টুইটার হ্যাণ্ডেল থেকে বলা হয়েছে, কিছু মানুষ দেশের উন্নতি দেখতে পায় না। এ ধরনের দেশ বিরোধী মানসিকতার লোকের সংখ্যাও ক্রমশ দেশে বাড়ছে। কয়েকমাস আগে রাহুল গান্ধিও ব্রিটেনে ভারতের সরকারের নীতির সমালোচনা করে গেরুয়া শিবিরের চক্ষুশূল হয়েছিলেন। আসলে কেন্দ্রের শাসক দলের কাছে সরকার আর দেশ সমার্থক। তাই সরকারের সমালোচনাকে দেশ বিরোধিতার আঙ্গিকে পেশ করা হয়। তাই নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া। উদাহরণ একাধিক। দিল্লির মন্ত্রীর জন্য কোন পরিণতি অপেক্ষা করছে তা অবশ্য এখনই বলা সম্ভব নয়।
❤ Support Us