- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ২০, ২০২৩
টানা অবরোধের রাজনীতিতে ফিরছে বিএনপি, নেত্রী অসুস্থ, চেয়ারম্যান তারেকের অঙ্কে ‘বিদেশি সংযোগ’। নৌকার পালে হাওয়া
জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের নেতৃত্বাধীন শাসক জোট বনাম জামাত বিএনপির সঙ্ঘাত বাড়ছে। আরো বাড়বে।জামাতের কৌশলগত অবস্থান, বিএনপিকে বিদেশি, বিশেষ করে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আস্কারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে কতটা বিপাকে ফেলতে পারে, সে এক বড়ো প্রশ্ন।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে স্বৈরশাসনের অবসান পর্যন্ত, পরেও নাক গলিয়ে শেখ হাসিনার নৌকার গতি রুখতে পারেনি হোয়াইট হাউস।এবারও ভোটের আগে কিংবা আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনে বিএনপির ধানের শিসের সলিলি সমাধির সম্ভাবনা বিস্তর। বিএনপিকে এতদিন আন্দোলনরত অবস্থানে দেখা যায়নি। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ, তার ছেলে তারেক জিয়া লন্ডনে স্বনির্বাসিত। তাদের নেতা বলতে মির্জা মফরুল সহ গুটি কয়েক মুখ । বুদ্ধিজীবীরা বিএনপির সঙ্গে নেই।জামাতের ঘোষিত, অঘোষিত সঙ্গদোষের জন্য জনভিত্তিকে বারবার প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতে হয়।কারণ যাই হোক না কেন, আমেরিকার ইচ্ছার দাসত্ব দুঃসাহসী বাংলাদেশ কখনো গ্রাহ্য করেনি। এবারও করবে না।স্বচ্ছ, সুষ্ঠ আর তদারকি সরকারের ভোটের দাবিতে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশি বেশি ইন্ধন জোগাবে, ততই বাংলাদেশের ভাবাবেগ ও অঙ্গীকার মানব বন্ধন গড়ে তুলবে।
বিএনপির পেছনে জামাতের সমর্থনও দলটির ভরাডুবির কারণ হয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত শত্রুদের বাংলাদেশ ক্ষমা করেনি, কখনো করবে না। তাদের দুরমুস করে হাসিনার নেতৃত্বে নৌকা ছুটছে।বাংলাদেশ দরিদ্রতম দেশের চিহ্ন মুছে দিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হয়ে উঠছে। এ এক বিস্ময়কর বাস্তব। এরকম বাস্তবের রূপকারে পরিণত হওয়া ছাড়া আওয়ামি লিগের উপায় নেই।সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ আর সন্ত্রাসের গূহশত্রুকে বিনাশ করার বাধ্যতামূলক শর্ত তাকে মানতে হবে। এটাই তার জেগে থাকবার, অস্তিত্বকে রক্ষা করবার প্রাথমিক আর চূড়ান্ত সংকল্প।বিএনপির এরকম বাধ্যবাধকতা নেই, তার রাজনীতি অগোছালো। তারুণ্যের স্বপ্ন থেকে অনেক অনেক দূরে। এরকম দূরত্ব পর্যালোচনা করে না বলেই কেবল ভোটের আগে রাস্তায় ক্ষমতামত্তার মুখ দেখায়। ভোটের পর মিশে যায় পলাতক স্রোতে। এবারও সে পুরনো; বর্জিত পথ দিয়ে ময়দানে নামছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তদারকি সরকারের অধীনে ভোটের সংযোগের রাস্তা বেছে নিয়েছে। মনোনয়ন দাখিল করার ঝোঁক নেই।ঝুঁকিও নেই। ৪৮ ঘন্টার হরতাল ডেকেছিল। সর্বাত্মক সাড়া পায়নি। আগামী বুধবার থেকে আবার ৪৮ ঘন্টার হরতাল ডেকেছে। দলটির বরিষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, অবরোধের পরিধি বাড়বে।
এ নিয়ে বিএনটি ষষ্ঠ দফায় অবরোধ ডাকল। প্রথম কর্মসূচিটি ছিল ৭২ ঘণ্টার। এরপর প্রতিটি কর্মসূচি ৪৮ ঘণ্টার।রিজভি বলেছেন, “অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও সবার অংশগ্রহণের নির্বাচন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি, দলের সংগ্রামী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব নেতা কর্মীদের মুক্তির দাবিতে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।
যে দাবিতে এই কর্মসূচি, বাংলাদেশের সরকার তা অগ্রাহ্য করছে। সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জনসভায় নৌকা মার্কায় ভোটও চাইছেন।তাঁর ছেলে জয় ওয়াজেদও আওয়ামি লিগকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি শেরে ফেলেছে।সেদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গেও এনিয়ে তাদের কথা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই যে কোনো দিন তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।
২০১১ সালে উচ্চ আদালতের রায়ে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণার পর ওই বছর বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন।এর প্রতিবাদে আন্দোলনে গিয়ে বিএনপি ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের ডাক দেয়।২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও সেই নির্বাচনেও কারচুপির অভিযোগ তোলে আবার তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে ফেরে।
❤ Support Us