Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ১২, ২০২৩

“অধ্যাপককে তুইতোকারি করা আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না”, যাদবপুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ব্রাত্য

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
“অধ্যাপককে তুইতোকারি করা আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না”, যাদবপুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ব্রাত্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে টানা ১৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ধরনায় বসে রয়েছেন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ-সহ কর্মসমিতি বা ইসি-র কয়েক জন সদস্য। এই ঘটনাকে “অনভিপ্রেত” বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি তিনি বললেন, অধ্যাপকদের “তুইতোকারি” করা বা গালিগালাজ করা কোনও আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের নিয়ে একটি কর্মশালায় উপস্থিত হয়েছিলেন। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে ধন ধান্য প্রেক্ষাগৃহে হয় এই কর্মশালা। অনুষ্ঠান শেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ধরনা প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘যাদবপুরে কী ঘটছে, ভাসা-ভাসা শুনেছি। কিছু বলব না। কারণ নতুন সার্চ কমিটি হবে।’’ এর পরেই ব্রাত্য অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য-সহ কর্মসমিতির সদস্যদের ধরনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেন, ‘‘গণমাধ্যমে বিষয়টি দেখলাম। ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করতে পারেন, কিন্তু অধ্যাপককে তুইতোকারি করা বা চার বা পাঁচ অক্ষরে কথা বলা আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না, এটা কোনও আন্দোলনের রাস্তা হতে পারে না।’’ এর পরেই ব্রাত্য বলেন, ‘‘আমরাও আন্দোলন করেছি। কোনও অধ্যাপককে তুইতোকারি করা বা চার অক্ষরে, পাঁচ অক্ষরে সম্বোধন করা ভদ্রজোনচিত কাজ হতে পারে না। এটা অনভিপ্রেত। এটা ঠিক, সব শিক্ষককে শ্রদ্ধা করা যায় না, আবার সব ছাত্রকে স্নেহও করা যায় না।’’

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত ২৬ সেপ্টেম্বরের কর্মসমিতির বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সব বিষয়ে আলোচনা করে ওঠা সম্ভব হয়নি। সে দিনের বৈঠক শেষে ফের কবে কর্মসমিতির বৈঠক হবে, তা-ও জানাননি তিনি। বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়। উদ্দেশ্য ছাত্রমৃত্যু এবং ডেঙ্গু সংক্রান্ত বিষয় বাদে বাকি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা। অভিযোগ, বৈঠক শুরু হতেই স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ক্রমাগত স্লোগানের মুখে পড়ে ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্য এবং ইসির কয়েক জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডিন অফ সায়েন্স এবং আরও বেশ কিছু বিভাগের ডিন। বুদ্ধদেব সাহুর দাবি, কর্মসমিতির বৈঠক চলাকালীন টানা চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাঁদের ছাত্র-নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। তারই প্রতিবাদে বুধবার সারা রাত ধর্নায় বসেন তাঁরা। বুদ্ধদেবের আরও দাবি, ছাত্রদের হাতে তাঁদের অপমানের প্রতিবাদেই এই ‘সত্যাগ্রহ আন্দোলন। বৃহস্পতিবার সকালে ধরনাস্থলে বসেই প্রশাসনিক কাজকর্ম করেন উপাচার্য এবং কর্মসমিতির সদস্যেরা। এই ঘটনাকেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী “অনভিপ্রেত” বলে ব্যাখ্যা করেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!