Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩

আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে হকার সরান, কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে হকার সরান,  কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

সামনেই দুর্গাপুজো তার আগে কলকাতা শহরের হকারদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতা পুরসভা এলাকায় বেআইনি দখলদারি চিহ্নিত করতে হবে। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে হকারদের সরিয়ে ফেলতে হবে। এমনকী কলকাতা পুরসভা এলাকায় বাইরের শহরের কোথায় কত হকার আছে তাও বিস্তারিত জানাতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে, এই মর্মে রিপোর্ট পেশ করতে হবে কলকাতা পুরসভার।

কলকাতা শহরে একটা বড় সমস্যা ফুটপাতের হকার। ফুটপাথে হাঁটার জায়গা নেই বললেই চলে। শহরের অনেক বাড়ির সামনে হকার বসে যাওয়ায় যাতায়াত করতে সমস্যা হয় প্রতিনিয়ত। এই পরিস্থিতিতে শহরের হকারদের নিয়মে বাঁধতে নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু সেগুলো কোনোটাই সেই অর্থে কার্যকর হয়নি।

কলকাতা পুরসভাকে শহরের হকার সংক্রান্ত এই তথ্য লিখিত আকারে আদালতে পেশ করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বারবার বলা সত্ত্বেও তুলে দেওয়ার পরও সেখানে আবার এসে বসে গিয়েছেন হকাররা। আবার কিছু ক্ষেত্রে হকারদের প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে। তাই এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। হকারদের রাস্তা দখলের দৃশ্য দেখে কলকাতা পুরসভার আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‌বিষয়টা একটু দেখুন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এবার নিজেরা সিদ্ধান্ত নিন। এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। রাজনীতিতে জড়িয়ে গেলে আর কোনও কাজ হবে না।’‌

কলকাতা শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতাই হকাররা দখল করে বসে আছে। তুলতে গেলে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রশাসনকে। এই পরিস্থিতিতে হকারদের সরিয়ে দেওয়া নিয়ে বৈঠকে বসে টাউন ভেন্ডিং কমিটি। এই সমস্যাটি নিয়ে কলকাতা পুরসভায় বৈঠকও করা হয়। নতুন করে কোনও হকারদের বসতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তারপরও সমস্যা মেটেনি। আবারও দেখা যায় হকাররা আগের জায়গায় বসে গেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে হকারদের বসানোর অভিযোগ আছে এই ক্ষেত্রে।  নতুন নিয়মে, বেআইনিভাবে বসা কোনও হকারদের বিরুদ্ধে এবার সরাসরি পদক্ষেপ করতে পারবে কলকাতা পুলিশ।

কিন্তু দূর্গা পুজোর মুখে হকাররা যাবে কোথায়?‌ এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। সারা বছর হকাররা দুর্গাপুজোর দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। তাই পুজোয় হকারি করতে না পারলে হকারদের রুজি–রুজিতে যে প্রভাব পড়বে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ‘‌শপিং হাব’‌ বলে পরিচিত ধর্মতলার গ্র্যান্ড হোটেলের নীচে বসা হকারদের নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা পুরসভাকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে থাকা ফুটপাথ থেকে হকার সরাতে হবে। এমনকী বিচারপতি অমৃতা সিনহা কলকাতা পুরসভাকে জানিয়ে দেন নতুনভাবে এই হকারদের কোনও লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। আর অবৈধ দোকানগুলিতে কেমন করে বিদ্যুৎ সংযোগ এল?‌ সিইএসসি’‌র কাছে সেই কৈফিয়ত তলব করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তাদের হোটেলের সাম্য জুড়ে হকারদের বসা নিয়ে গ্র্যান্ড হোটেল কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের মামলা করেছিল।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!